দরিদ্র মেধাবী মনিয়া পড়তে চায়

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০১৯, ২৩:০০

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

দরিদ্র মেধাবী মনিয়া খানম মনি এসএসসির পর সদ্য প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফলেও জিপিএ-৫ পেয়ে অনন্য কৃতিত্ব দেখিয়েছে। পিতার আর্থিক সামর্থ্যহীনতা সত্ত্বেও সে মেধার দ্যুতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। তবে বাবার আর্থিক সামর্থ্যহীনতায় মনিয়া খানমের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা এখন অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সামর্থ্যহীনতা সত্ত্বেও পিতা চাচ্ছেন তার পরিশ্রমের অর্জিত অর্থের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও মেয়েকে উচ্চ শিক্ষিত করবেন।

অন্যদিকে মেয়ে মনিয়া খানম মনে করেন গরিবের জন্য উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা অনেকটা বিলাসিতার মতো। তাই পিতার দিক বিবেচনা করে স্বপ্ন হৃদয়ের গহীনে চাপা রেখে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কিংবা দেশের সেরা সব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির চেষ্টা না করে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনার্স পড়েই শেষ করতে চান।

সামর্থ্যহীন পিতার অদম্য মেধাবী কন্যা মনিয়া খানমের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছার কাছে কি অর্থ বাধার প্রাচীর হবে, নাকি সকল বাধা ডিঙ্গিয়ে তিনি লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন?

মনিয়া খানম মনি কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড খন্দকবাড়ীয়া মহল্লার মনিরুল ইসলাম ও টুলটুলি খাতুনের মেয়ে।

মনিরুল ও টুলটুলি দম্পতির দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের মধ্যে মনিয়া সবার বড়।

মনিয়া বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর মিরপুর মাহমুদা চৌধুরী কলেজ থেকে এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

মনিয়া খানমের বাবা মনিরুল ইসলাম বর্তমানে জাপান টোব্যাকো কোম্পানির সিগারেট বিক্রির সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত। পিতা মনিরুলের সামান্য আয়ের সিংহভাগ ব্যয় হয় মেয়ে মনিয়ার লেখাপড়া করার জন্য। বাকি টাকায় চলে পাঁচজনের সংসার। লেখাপড়া পড়া শেষ করে মনিয়া শিক্ষক হতে চান।

(ঢাকাটাইমস/১আগস্ট/এলএ)