দুধে অ্যান্টিবায়োটিক অস্বাভাবিক নয়

নির্ধারিত মাত্রায় এফডিএ প্রধান নয়টি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আটটি, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পাঁচটি এবং কোডেক্স দুধে প্রধান চারটি অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য মনে করে।অধ্যাপক ফারুকের গবেষণায় মিলেছে চারটির উপস্থিতি, তবে মাত্রা জানানো হয়নি।

তানিয়া আক্তার, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৩৮ | প্রকাশিত : ০২ আগস্ট ২০১৯, ০৯:০৪

দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি সারা বিশ্বেই গ্রহণযোগ্য একটি বিষয় হলেও বাংলাদেশে হঠাৎ করেই এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং অঞ্চল ভেদে নানা ধরনের মানদণ্ড আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো মানদণ্ড নেই।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আ ব ম ফারুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারে দুটি গবেষণার বরাত দিয়ে চার ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতির কথা জানান দুধে। এগুলো হলো: লেভোফ্লক্সসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন।

তবে খাদ্যের মান নির্ধারণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা কোডেক্স, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা এফডিএ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা আলাদা আলাদাভাবে প্রধান প্রধান নয় ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য হিসেবে মনে করে। তবে সেটা অবশ্যই নির্ধারিত মাত্রার মধ্যে থাকতে হবে।

আবার অধ্যাপক ফারুক তার গবেষণাটি কোন পদ্ধতিতে করেছেন, কোন যন্ত্র এবং কোন ল্যাবরেটরিতে করেছেন সেটিরও উল্লেখ করেননি। এমনকি বিশ্বব্যাপী দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের সহনীয় মাত্রা কত এবং তিনি তার গবেষণায় কী পরিমাণের পেয়েছেন সেই তথ্যও দেননি। আর এ বিষয়ে তিনি কথাও বলতে চান না।

দুধে অ্যান্টিবায়োটিক থাকতে পারে- এই ব্যাপারটি জানা না থাকায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন একাধিক গবেষক। একজন অধ্যাপক বলছেন, ‘প্রাণিসম্পদের লোক না হয়েও (অধ্যাপক ফারুক) গবেষণা করায় এবং গবেষণাটি তিনি যেখানে করেছেন বলেছেন, সেটার বদলে অন্য একটি গবেষণাগারে করায় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।’

গত ২৫ জুন প্রথমবার ও ১৩ জুলাই দ্বিতীয়বার গবেষণার ফল প্রকাশ করেন অধ্যাপক ফারুক। দুধে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার খবরে আলোড়ন উঠে দেশে। তরল দুধের চাহিদা কমে যায়, তুঙ্গে উঠে বিদেশ থেকে আমদানি করা গুড়ো দুধের চাহিদা। উচ্চ আদালতে হয় রিট। আর আদালত ১৪ কোম্পানির দুধ উৎপাদনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বসে। যদিও পরে আপিল বিভাগ সেই নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

এই দুটি গবেষণার বৈজ্ঞানিক জবাব না দিয়ে অধ্যাপক ফারুকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন। আর এরপর অধ্যাপক ফারুকের পক্ষে দাঁড়ায় বিভিন্ন সংগঠন। সাধারণ নাগরিকরাও ফেসবুকেই প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকে।

এর মধ্যে আবার বাংলাদেশের ১৬ কোম্পানির দুধের নমুনা ভারতের চেন্নাইয়ের এসজিএসর ল্যাবে পরীক্ষা করে নিরাপদ বলে প্রমাণ পায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-বিএআরসি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিল্ক ভিটায় প্রতি কেজিতে ১০ মাইক্রোগ্রামের নিচে স্ট্রেপটোমেসিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তা মানবদেহের জন্য নির্ধারিত মাত্রার অনেক নিচে। সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা প্রতি কেজিতে ২০০ মাইক্রোগ্রাম।

অন্যদিকে, প্রাণের দুধের নমুনায় প্রতি কেজিতে ০.৬ মাইক্রোগ্রাম ক্লোরামফেনিকলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। দুধের ক্ষেত্রে ক্লোরামফেনিকলের মাত্রা নির্দিষ্ট করা নেই। তবে কারও কারও মতে ০.১ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য।

কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘দুধ পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশে যে কয়েকটি পরীক্ষাগার আছে তার বেশিরভাগেই ভারী ধাতু, ডিটারজেন্ট ও অ্যান্টিবায়োটিক পরীক্ষা করার সক্ষমতা নেই।’

এরই মধ্যে বহুজন ফেসবুকে জানান দিচ্ছেন, তারা তাদের সন্তানদেরকে পাস্তুরিত দুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। কেউ জানাচ্ছেন, তারা খামার থেকে বেশি দামে দুধ কিনছেন।

তবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান শিকদার এই জন উদ্বেগকে অকারণ মনে করেন। তিনি বলেন, ‘এন্টিবায়োটিক পাওয়া মানেই খারাপ নয়। সব দেশের দুধেই অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। দুধে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টবায়োটিক থাকে। আর বিভিন্ন দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের সহনীয় মাত্রাও নির্ধারিত রয়েছে।’

গ্রহণযোগ্য মাত্রা কত?

ইউরোপীয় ইউনিয়ন দুধে প্রধান আট ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে। এর মধ্যে টেট্রাসাইক্লিন ০.১ থেকে ০.২ পাটর্স পার মিলিয়ন (পিপিএম), অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ০.১, কোরটেট্রাসাইক্লিন ০.১, স্ট্রেপ্টোমাইসিন ০.২ থেকে ১, ইরিথ্রোমাইসিন ০.০৪, সালফানিলামাইড ০.১, নিওমাইসিন ০.০০৪ এবং পেনিসিলিন ০.০০৪ মাত্রায় গ্রহণযোগ্য।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারও প্রধান পাঁচ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিককে গ্রহণযোগ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছে। এগুলো হলো: অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ০.০৩, স্ট্রেপ্টোমাইসিন ০.১২৫, ইরিথ্রোমাইসিন ০.০৫, নিওমাইসিন ০.০০৫ এবং পেনিসিলিন ০.০০৫।

কানাডার মানদণ্ডেও দুধে প্রধান পাঁচ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণযোগ্য। এগুলো হলো: অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ০.১৫, স্ট্রেপ্টোমাইসিন ০.১২৫, ইরিথ্রোমাইসিন ০.০৫, নিওমাইসিন ০.০০৬ এবং পেনিসিলিন ০.০০৬।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা (এফডিএ) বলছে, দুধে প্রধান ৯ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক থাকতে পারে। এগুলো হলো: টেট্রাসাইক্লিন ০.০৮, অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ০.৩, কোরটেট্রাসাইক্লিন ০.৩, স্ট্রেপ্টোমাইসিন ০.১২৫, ইরিথ্রোমাইসিন ০.০৫, জেন্টামাইসিন ০.০৩, নিওমাইসিন ০.১৫, সালফানিলামাইড ০.০১ এবং পেনিসিলিন ০.০০৫।

জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা এবং খাদ্যের মান নির্ধারণকারী সংস্থা (কোডেক্স) দুধে প্রধান চারটি অ্যান্টিবায়োটিক স্বাভাবিক হিসেবে মনে করে। এগুলো হলো: কোরটেট্রাসাইক্লিন ০.১, জেন্টামাইসিন ০.১, নিওমাইসিন ০.০৫, সালফানিলামাইড ০.০১ এবং পেনিসিলিন ০.০০৫।

অধ্যাপক ফারুক তার গবেষণায় ‘শক্তিশালী’ অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু সেটি কত শক্তিশালী এবং এর মাত্রা কত, সেটা বলেননি। পাশাপাশি তার গবেষণা পদ্ধতিসহ নানা বিষয়ে আছে ধোঁয়াশা।

গবেষণার ‘দুর্বলতা’

অধ্যাপক ফারুক বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারে গবেষণা করার কথা বললেও এর টেকনিক্যাল অফিসার আবুল কালাম আজাদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে অ্যান্টিবায়োটিক শনাক্তের যন্ত্র নেই। গবেষণাটি করা হয়েছে সেন্টার ফর এডভান্স রিসার্চ ইন সায়েন্সেস-কারসের।’

কারস এর একজন কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়া এখানে অর্থের বিনিময়েও গবেষণা করা যায়।’

কারসের একজন বিজ্ঞানী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেছেন, “গবেষণায় উনি (অধ্যাপক ফারুক) যে অ্যান্টিবায়োটিক পেয়েছেন সেগুলো সহনীয় পর্যায়ে ছিল। দুধে অ্যান্টিবায়োটিক আছে এ ব্যাপারটিই হয়ত উনাকে বিস্মিত করেছে। উনি হয়ত জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ‘উঁচু মাত্রায়’ পেয়েছেন বলে ফেলেছেন। আর উচ্চমাত্রা বলায় সবাই বিভ্রান্ত হয়ে গেছে।”

‘সবার জিজ্ঞাসা তৈরি হচ্ছে সহনীয় মাত্রার কত বেশি উনি পেয়েছেন। যেহেতু বাংলাদেশে এখনো সহনীয় মাত্রা নির্ণয় করা হয়নি, ফলে আমাদের মতো অন্য উন্নয়নশীল দেশে উন্নত বিশ্বের নির্ধারিত মাত্রার উপরই নির্ভর করতে হয়। তাই উন্নত বিশ্বের সহনীয় মাত্রার চেয়ে কত বেশি পেয়েছেন সেটা জানতে চাওয়ায় বিষয়টি অন্য দিকে মোড় নিয়েছে।’

বায়োমেডিকেল রিসার্স সেন্টারে কাজ করা ফার্মেসি অনুষদের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লুৎফুল কবির ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দুধের মান পরীক্ষার গবেষণার ফলাফল আমাদের কাছে না থাকায় কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে উপাদানগুলো উচ্চমাত্রায় রয়েছে বলে জানালেও সহনীয় মাত্রার চেয়ে কত বেশি তার সুস্পষ্টও বলেননি। যদি ফলাফল প্রকাশ করতেন তাহলে কোন পদ্ধতিতে, কোন যন্ত্রের কোন ধরনের মডেলের ব্যবহার করে কাজটি করেছেন তা না জানায় এ ব্যাপারে কথা বলাই মুশকিল।’

অধ্যাপক আ ব ম ফারুকঅধ্যাপক ফারুক তার গবেষণায় পাওয়া অ্যান্টিবায়োটিকের পরিমাণ কত- এ বিষয়ে কথা বলতে চান না এই মুহূর্তে। চার দিনের চেষ্টায় গতকাল বিকালে এক মিনিটের মতো কথা হয়ে তার সঙ্গে। অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে, কিন্তু সেটি কী পরিমাণে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর আমি আমার গবেষক দল সে রিপোর্ট উপস্থাপন করব। তারপর আপনারা সব জানতে পারবেন।’

কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে- এখন বলতে কী সমস্যা- এমন প্রশ্নে ওষুধ প্রযুক্তিবিদ বলেন, ‘এখন আমি কিছুই বলব না। পিএম ফিরুক। তাকেই দেব।’

চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি অধ্যাপক ফারুকের গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। দুধ নিয়ে আতঙ্কের পেছনে বিদেশি গুড়া দুধ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কারসাজি আছে কি না, এই বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

দুধে যেভাবে আসে অ্যান্টিবায়োটিক

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সায়েন্স ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘পশুর চিকিৎসা চলাকালে এবং তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার সময় দুধ বা মাংস বিক্রি করলে তা খেয়ে মানুষের মধ্যেও প্রবেশ করতে পারে।’

‘একেকটা অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা একেক রকম। তবে এখনো সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়নি। তবে ভবিষ্যতে যাতে না বেড়ে যায় সে সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে। তাই অ্যান্টিবায়োটিকের উৎস বের করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।’

একজন অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা অধ্যাপক ফারুকের দুধ গবেষণাটি নিয়ে সঠিকভাবে জবাব দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক ফারুকের গবেষণা প্রতিবেদনটি নিয়ে তার সঙ্গে বসে আলোচনা করা যেত। সঙ্গে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের রাখা যেত। তাহলেই বিষয়টি স্পষ্ট হতো। সেটা না করে একজন অতিরিক্ত সচিবের অনুচিত ভাষার ব্যবহার বিষয়টিকে আরো জটিল করেছে।’

‘আবার যে কোম্পানিগুলো দুধ বাজারজাত করে, তাদের নিজস্ব ল্যাব বা বিশেষজ্ঞ জনবল রাখার দিকে মনোযোগ নেই। দুধ পরীক্ষায় তারা শুধু পানি, প্রোটিন পরীক্ষা করেন। তারাও হয়ত অ্যান্টিবায়োটিক বা ভারী ধাতব পরীক্ষা করে না বা এ বিষয়ে জানেও না। ফলে তারাও বিভ্রান্তির জবাব দিতে পারেনি। আর মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার অজস্র সমস্যা রয়েছেই।’

বাংলাদেশে মানদণ্ডই নেই

বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের বিষয়ে একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করলেও বাংলাদেশের কোনো সরকারি সংস্থা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। তাদের এতদিন কোনো চিন্তাও ছিল না।

মান নিয়ন্ত্রণে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইয়ের পরিচালক (মান) এস এম ইসহাক আলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের এ বিষয়ে মানদণ্ড না থাকলেও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ অন্যদেরও রয়েছে। তবে আমরা সামনে কাজটি করার চেষ্টা করছি।’

তবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মানদণ্ডে আদৌ কিছু আছে কি না, সে বিষয়েও তথ্য মেলেনি। সংস্থাটির কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুধ প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না। এটা নিয়ে মন্ত্রিপর্যায়ে কাজ হচ্ছে।’

ঢাকাটাইমস/২আগস্ট/টিএ/ডব্লিউবি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :