ফুরসত নেই পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়ার্কশপ শ্রমিকদের

এম হাশেম তালুকদার, চট্টগ্রাম
 | প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট ২০১৯, ০৮:০৭

চট্টগ্রামে পাহাড়তলী রেলওয়ে ব্যাপক কর্ম চলছে, একদিকে কয়লার চুলোতে গরম করা হচ্ছে লোহার মোটা স্ক্রু, অন্যদিকে ইঞ্জিনচালিত যন্ত্রে গরম লোহাকে পিটিয়ে করা হচ্ছে সোজা। গ্যাসের আগুনে চাকাকে নরম করে আধুনিক মেশিনে ঢুকিয়ে করা হচ্ছে গোলাকার। কেউবা সেই চাকাতে তেল লাগিয়ে করছেন মসৃণ। ওয়েল্ডিং করে মেরামত করা হচ্ছে ট্রেনের বগি, দরজা আর চেসিস। পাহাড়তলী রেলওয়ে ওর্য়াকশপে চলছে এসব কর্মযজ্ঞ। আসন্ন ঈদে কোচের চাহিদা থাকায় কারখানায় ১১টি শপের শ্রমিকদের যেন দম ফেলারও ফুরসত নেই।

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ক্যারেজ ও ওয়াগন ওয়ার্কশপের যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৭ সালে। শুরু থেকেই রেলের যাত্রীবাহী কোচ, পণ্যবাহী ওয়াগন ও ইঞ্জিন মেরামতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে এই ওয়ার্কশপ।

রেলের গতিশীলতা রক্ষায় কোচ, লোকোমোটিভ ক্যারেজ ও ওয়াগনের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ, আয়ুষ্কাল ঠিক রাখার জন্য এই কারখানা গড়ে তোলা হলেও নেই প্রয়োজনীয় লোকবল, বাজেট বরাদ্দও দেয়া হয় না প্রয়োজন অনুসারে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে প্রায় দুই শতাধিক ট্রেন চলাচল করে। এসব ট্রেন মেরামত করা হয় পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে।

ওয়ার্কশপটির ৪৪৯টি যন্ত্রপাতির মধ্যে ২৭১টির বয়স ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। পুরনো যন্ত্রপাতির সঙ্গে কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযুক্ত করা হলেও কাজের গতি কমেছে দক্ষ জনবলের অভাবে।

বছরে দুই ঈদে এই কারখানায় দম ফেলার সময় পান না রেল শ্রমিকরা। বর্তমানে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক ক্যারেজ শপ, ওয়াগন শপ, পেইন্ট শপ, হুইল শপ, ওয়েল্ডিং শপ, স্মিথি শপ, ফাউন্ড্রি শপ, সিএইচআর শপ, জিওএইচ শপ, এসিটিএল শপ, জিইআর শপে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন।

জানা গেছে, প্রতিবছর ওয়ার্কশপ থেকে তিন শতাধিক কোচ ও ছয় শতাধিক মেরামতকৃত ওয়াগন পরিবহন বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়। কোচ মেরামতের কাজ চলে প্রতিদিন। নতুন রেলপথ স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে যোগ হচ্ছে নতুন কোচ ও ইঞ্জিন। জাইকা ও সরকারি তহবিলে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ আধুনিকায়নের কাজ চলছে। এরপর এটির কার্যক্ষমতা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন এখানে নিয়োজিত শ্রমিক ও কর্মকর্তারা।

(ঢাকাটাইমস/৩আগস্ট/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বন্দর নগরী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা