বিদ্রুপে বিরক্ত হননি স্মিথ

প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০১৯, ১১:৫৫

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

শুরু হয়েছিল ডেভিড ওয়ার্নারকে দিয়ে। ছাড় পাননি স্টিভ স্মিথও। নির্বাসন থেকে ফিরে টেস্ট ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন ম্যাচে সেঞ্চুরি করেও বিদ্রুপের মুখে পড়তে হল। যদিও ব্রিটিশ দর্শকদের আচরণকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না স্মিথ।

বল বিকৃতির জন্য নির্বাসনের কবলে পড়তে হয়েছিল ওয়ার্নার, ব্যানক্রফট ও স্মিথকে। অ্যাশেজের প্রথম দিনই শিরিষ কাগজ দেখিয়ে ওয়ার্নারকে বিদ্রুপ করা হয়। স্মিথকেও ওয়ার্নারের মতো বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছিল। ইংল্যান্ড বোলারদের সামনে বুক চিতিয়ে যত রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, বিদ্রুপের মাত্রা ততই বেড়েছে। এমনকি তাঁর ক্রন্দনরত মুখোশ পরে দর্শকরা ক্রমাগত কটাক্ষ, উপহাস করে গেছেন স্মিথকে। তা সত্ত্বেও মনঃসংযোগে বিঘ্ন ঘটেনি স্মিথের। উপহাস–ব্যঙ্গ উপেক্ষা করে টেস্টে ২৪তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন স্মিথ।

ব্রিটিশ দর্শকদের আচরণ তাঁকে বিচলিত করেনি, জানান স্মিথ। বলেন, ‘দর্শকদের আচরণে মোটেও বিরক্ত হইনি। সতীর্থরা আমার পাশে আছে, এটাই আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। সেঞ্চুরির পর যখন ড্রেসিংরুমের ব্যালকনির দিকে তাকিয়েছিলাম, দেখছিলাম সতীর্থরা পাগলামি শুরু করেছে। ওদের দেখে আমার শিরদাঁড়ায় শিহরন জেগেছিল। দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে সেঞ্চুরি পেয়েছি। এটা আমার কাছে অসাধারণ মুহূর্ত।’‌

নির্বাসিত হওয়ার পর স্মিথ নিশ্চিত ছিলেন না আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন কিনা। তিনি বলেন, ‘‌১৫ মাস আমার মধ্যে কী ঘটেছে তা একমাত্র আমিই জানি। আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারব কিনা নিশ্চিত ছিলাম না। ক্রিকেটের প্রতি আবেগ, ভালবাসা হারিয়ে ফেলেছিলাম। বিশেষ করে যখন কনুইয়ে অস্ত্রোপচার হয়েছিল, তখন মনে হয়েছিল আর ক্রিকেটে ফিরতে পারব না। সুস্থ হয়ে ওঠার পর আবার ক্রিকেটকে ভালবাসতে শুরু করি।’‌

সেঞ্চুরি করার পরও যেভাবে স্মিথকে বিদ্রুপ করা হয়েছে, বিরক্ত গ্লেন ম্যাকগ্রাথ। বলেন, ‘‌শুরুর দিকে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে সারাক্ষণ এটা চলা উচিত হয়নি। বিশ্বকাপের সময়ও এই ধরনের ঘটনা দেখেছিলাম। ১৬ মাস আগের ঘটনার রেশ এখনও চলছে। মানুষ মাত্রই ভুল হয়। ওরা ভুলের মাশুল দিয়েছে। দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পরেও যেভাবে স্মিথকে বিদ্রুপ করা হয়েছে, খুবই হতাশাজনক।’‌

অ্যাশেজের প্রথম দিনেই বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে আম্পায়ারদের। নিরপেক্ষ আম্পায়ারের দাবি তুলেছেন রিকি পন্টিং। বলেছেন, ‘‌আমার মনে হয় নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে ম্যাচ পরিচালনার সময় এসেছে। অনেকেই হয়তো বলবে, প্রযুক্তি চলে এসেছে। বারবার ভুল সিদ্ধান্ত দেখাটা কিন্তু খুবই দৃষ্টিকটূ।’

(ঢাকাটাইমস/৩ আগস্ট/এসইউএল)‌