‘কাশ্মীরে স্থানীয় ও পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করছে বিজেপি’
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে দেশী-বিদেশী পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। প্রেস কনফারেন্স করে এমনটাই দাবি করেছেন সিনিয়র কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ।
কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রায় জঙ্গি হামলা হতে পারে এমন আগাম তথ্য পেয়ে শনিবার হিন্দু তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের দ্রুত কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশ দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষ, পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানায় প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘোষণার ফলে হুমকির মুখে পড়বে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প এবং এর সাথে জড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের আয়-রোজগার। বিজেপি গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় ভয়-ভীতি, ঘৃণা-বিদ্বেষের উন্মেষ ঘটাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা।
উদ্বিগ্ন পর্যটকরা ইতিমধ্যে কাশ্মীরের শ্রীনগর বিমানবন্দরে ভিড় করতে শুরু করেছেন। টিকিট না পেয়ে দুশ্চিন্তায় বিমানবন্দরেই রাত কাটাচ্ছেন কেউ কেউ। এদিকে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গাড়িতে করে, বাসে করে তাদেরকে উপত্যকা থেকে সরিয়ে নিচ্ছে বিজেপি। একারণে স্থানীয়দের মনে ভীতির সঞ্চার হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
দেশটির উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে আগত প্রায় আড়ায় লক্ষাধিক শ্রমজীবী মানুষ এখন ভিড় করছে বাস স্ট্যান্ড অথবা ট্রেন স্টেশনে। বাদ নেই স্থানীয় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গুলোও। প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে ক্যাম্পাস। গত ত্রিশ বছরে এমন চিত্র কাশ্মীরে দেখা যায়নি বলে দাবি কংগ্রেসের।
প্রতিবছরই অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিতে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থী হাজির হন কাশ্মীর উপত্যকায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্ত বাধ সেধেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার জম্মুতে পরিসরে ছোট এরকম আরেকটি তীর্থযাত্রা (মাচাইল মাতা যাত্রা) স্থগিত করে কেন্দ্রীয় সরকার জঙ্গি হামলা হতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে। বিরোধী দলগুলো যারপরনাই প্রতিবাদ জানিয়েছে কাশ্মীর নিয়ে সরকারের এই অবস্থানের বিরুদ্ধে।
(ঢাকাটাইমস/এমআই)