মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৯, ০৮:৪৪

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের নানা পদক্ষেপের পরেও মূলধনী যন্ত্রপাতির এলসি খোলা কমেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য ৪৩২ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৩০ শতাংশ কম। এ ছাড়া চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, ওষুধসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের এলসি কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে মোট এলসি খোলা হয়েছে ৫ হাজার ৩৯৬ কোটি ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। এ হিসাবে ১১ মাসে কমেছে এক হাজার ১৪৫ কোটি ডলার, বা সাড়ে ১৭ শতাংশ। মূলত গত অর্থবছরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বড় অঙ্কের এলসি ছিল।  অন্যান্য খাতের এলসি কমেছে এক হাজার ১০১ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রক্রিয়াগত কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সরঞ্জাম আমদানির জন্য গত বছরের ২০ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকে ১ হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়। তবে চুক্তি মোতাবেক ওই এলসির পুরো দায় পরিশোধ করবে রাশিয়া। এ ছাড়া বন্যায় গত বছর প্রচুর ফসলহানি হয়। এবার ফসল উৎপাদন স্বাভাবিক থাকায় গত বছরের মতো চাল ও গম আমদানির চাহিদা নেই।

গত অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে চাল আমদানির জন্য মাত্র ৬ কোটি ৮২ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়। আগের অর্থবছরের একই সময়ে খোলা হয়েছিল ১৯৮ কোটি ডলার। চালের এলসি কমেছে ৯৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গমের এলসি ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ কমে ১২৫ কোটি ডলারে নেমেছে।

 নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চিনির এলসি আগের অর্থবছরের ৭৭ কোটি ডলার থেকে ৫৬ কোটি ডলারে নেমেছে। পেঁয়াজের এলসি ৩৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে ২০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। ভোজ্য তেলের এলসি খোলা হয়েছে ১৫৩ কোটি ডলার। আগের বছরের তুলনায় যা ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ কম। ওষুধ, টেক্সটাইল ফেব্রিক্স এক্সেসরিজ, কেমিক্যাল পণ্য, টিন প্লেট, পেপার ও পেপার বোর্ডের এলসিও কমে এসেছে এই সময়ে।

অনেক পণ্যের এলসি কমলেও ব্যাপকভাবে বেড়েছে সিমেন্টের কাঁচামালে। সিমেন্টের কাঁচামালের ২২৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়ে ৭ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। তেলবীজের এলসি বেড়েছে ৫৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ ছাড়া ডাল, দুগ্ধপণ্য, সুতা তৈরির সরঞ্জাম, সুতা, ওষুধের কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্যের এলসি বেড়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৪আগস্ট/মোআ)