গুমের হুমকি পাওয়া প্রধানমন্ত্রী বিটের সাংবাদিক নিখোঁজ

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১১:৪৭ | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১৩:২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
নিখোঁজ সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান

আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী বিটের একজন সাংবাদিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার উদ্বিগ্ন স্বজনরা এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পুলিশ এখনো নিশ্চিত না তার কী হয়েছে।

ওই সাংবাদিককে সম্প্রতি হত্যা ও গুমের হুমকি দেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই ঘটনাটি পুলিশকে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু হুমকিদাতাকে শনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ওই সাংবাদিককে।

নিখোঁজ সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান বেসরকারি টেলিভিশন মোহনার সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। টেলিভিশনটির টি‌ভির যুগ্ম-বার্তা সম্পাদক শহীদুল আলম ইমরান জানান, শনিবার সন্ধ্যায় মুশফিক গুলশান এক নম্বর এলাকায় ছিলেন। সাড়ে সাতটার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

প‌রিবার সূ‌ত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার বিকেলে মামার সঙ্গে দেখা করতে গুলশানে যান এই সাংবাদিক। তার সঙ্গে কথা বলে মিরপুরের বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুজির পরও তার সন্ধান মেলেনি। এনিয়ে পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও সহকর্মীরা উদ্বিগ্ন।

নিখোঁজ সাংবাদিকের স্ত্রী সালমা খাতুন গুলশান থানার বরাত দিয়ে বলেন, ‘পুলিশ সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে জানতে পেরেছে মুশফিক সর্বশেষ একটি পাঠাওএর মোটর সাইকেলে উঠেছিল।’

মুশ‌ফিকুর রহমানের মামা এজাবুল হক শনিবার রাতেই গুলশান থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তিনি জানান, রবিবার সকালে পুলিশ তাদের বাসায় এসেছিল। কিন্তু তারা তার ভাগ্নের অবস্থানের বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  এস এম কামরুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘'তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিখোঁজ মুশফিকুর রহমানকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।

মুশফিকের মামা জানান, মুশ‌ফিক সম্প্রতি তার গ্রামের কু‌মিল্লার দাউদকা‌ন্দি উপজেলার চরগোয়ালী খন্দকার না‌জির আহমেদ বহুমুখী বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ক‌মি‌টির সভাপ‌তি নির্বা‌চিত হন।  এরপর গত ২১ জুলাই রাতে ০১৭৫৩০৯৭৬৮৩ নম্বর থেকে মুশফিকের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল করে প‌রিবারসহ গুম করার হু‌মকি দেওয়া হয়। পর‌দিন মুশফিক অফিসে জানান বিষয়টি। পাশাপাশি রাজধানীর পল্লবী থানায় এক‌টি সাধারণ ডায়েরি করেন।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সাংবাদিক মুশফিক আমাদের এখানে জিডি করেছিলেন। আমরা বিষয়টি দেখছি।'

সাধারণ ডায়েরির পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল- জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা কিছু জানাতে পারেননি। বলেন, ‘আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব।’

মোহনা টিভির হেড অব নিউজ আহসান উদ দৌলা মারুফ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মুশফিক শুরু থেকে মানে ২০০৯ সাল থেকে এখানে কাজ করে। কর্মদক্ষতার কারণে অল্প কদিনের মধ্যেই পিএম বিটে কাজ শুরু করে। তাকে দ্রুত উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণে কারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা হোক।’

ঢাকাটাইমস/০৪আগস্ট/এসএস/ডব্লিউবি