এফআর টাওয়ারে আগুনের মামলায় প্রতিবেদন পেছাল

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১৪:৩২

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় রবিবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য দিনে পুলিশ তা দাখিল না করায় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেছে আদালত।

এদিন ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী নতুন তারিখ ধার্য করেন।

মামলায় গ্রেপ্তার এফআর টাওয়ারের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক ও অবৈধভাবে নির্মিত ১৯ তলা হতে ২৩ তলার মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম জামিনে রয়েছেন। এছাড়া পলাতক থাকা রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল আত্মসমর্পণ করে জামিনে রয়েছেন।

অন্যদিকে ওই ঘটনায় দুদকের দায়ের করা ভবন নির্মানে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সহকারী পরিচালক (নিরীক্ষা ও বাজেট) মো. সদরুল আলম বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

গত ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে একজন নিহত হয়। ওই ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৭৩ জন। এছাড়া ওই ঘটনায় আহত হয়ে ফ্যায়ারম্যান সোহেলও মারা যান। 

মামলায় অভিযোগ, ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক, টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভিরুল ইসলাম এবং রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল এফ আর টাওয়ার বিল্ডিং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার লোভে নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে টাওয়ারে ভবিষ্যতে থাকা সম্পত্তি ও লোকজনের জানমালের নিরাপত্তার বিষয় লক্ষ্য না রেখে কেবলমাত্র নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার মানসিকতায় চরম অবহেলা ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ কার্যকলাপের ফলে এফ আর টাওয়ারে এই মর্মান্তিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। এই অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিরীহ পুরুষ ও মহিলা এবং শতাধিক লোক আহত মারাত্মভাবে আহত হন। এছাড়াও এফ আর টাওয়ারের বিল্ডিংসহ পার্শ্ববর্তী বিল্ডিং সংলগ্ন রাষ্ট্রের সম্পত্তি মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। ১৯৯৬ সালের এফ আর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদিত নকশা ভবনের উচ্চতা ১৮ তলা, যদিও নির্মাণ করা হয়েছে ২৩ তলা। পরবর্তী সময়ে ২০০৫ সালে এফ আর টাওয়ারের মালিকপক্ষ রাজউকের কাছে আরেকটি নকশা জমা দেয়। ১৯৯৬ সালে মূল যে নকশা রাজউক অনুমোদন দিয়েছিল তার সাথে নির্মিত ভবনটির অনেক বিচ্যুতি রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৪আগস্ট/আরজেড/জেবি)