ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট আমদানিতে সহায়তা করবে এফবিসিসিআই

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৫৪ | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১৯:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ব্যসবায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ‘এসবিসিসিআই’ ডেঙ্গুজ্বর পরীক্ষার কিট আমদানিতে সব ধরনের সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। বলেছেন, এ ব্যপারে এফবিসিসিআইর সদস্য আমদানিকারকদের সঙ্গে শিগগিরই সভা করা হবে।

রবিবার এক আলোচনা সভায় ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের সংকটের কথা উঠে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
‘দেশব্যাপী ডেঙ্গুর বিস্তার রোধকল্পে করণীয়’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে ফেডারেশন অব চেম্বার্স অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এফবিসিসিআই। সভায় ডেঙ্গুতে করণীয় বিষয় সম্পর্কেও নানা তথ্য উঠে আসে।

সভায় শেখ ফাহিম ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সহায়তায় রক্ত সংকট রোধে ব্লাড ব্যাংক করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, রেড ক্রিসেন্ট ও সন্ধানীর সঙ্গে এ ব্যাপারে আমাদের কথা হচ্ছে। দ্রুতই একটি ব্ল্যাড ব্যাংক করতে যাচ্ছি আমরা।

সভায় বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. জাহাঙ্গীর বলেন, আগে আমরা ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট কিনতাম ১২০ টাকা দিয়ে। এরপর তা ১৫০ টাকা হয়। জুনে তা বেড়ে ১৮০ টাকা হয়। আর এখন ৪৫০ টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। এ তথ্য জানিয়ে এফবিসিসিআরইর সভাপতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ যেন ডেঙ্গুর কিটগুলো এনে ন্যায্যমূল্যে হাসপাতালে দেয়া হয়। তাহলে আমরা কম পয়সায় চিকিৎসা করতে পারবো। দেখা যায় বিনামূল্যেও চিকিৎসা করতে পারবো।

এ ব্যাপারে এফবিসিসিআর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এ ব্যপারে বলেন, ‘কিটের ব্যাপারে আমাদের ইমপোর্টারদের সঙ্গে আলোচনা করে আনবো। এ বিষয়ে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলেও আমরা দিব। আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে যাবো। আমরা সারাবছর অ্যাওয়ারনেসের জন্য কাজ করবো।’

শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, আমাদের যে সকল মেম্বার আমদানিকারক আছেন তারা যদি কিট আনতে চান তাহলে এক সঙ্গে হয়ে ওই কিট ডিসট্রিবিউশনের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারি। আমাদের সদস্যদের ক্লিনিক হোক আর হাসপাতাল হোক সেখানে ডিসট্রিবিউশন করতে পারি।

শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ওডোমস (মশা নিরোধক মলমবিশেষ) এখন আউট অব মার্কেট। ঢাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। যারা আমদানি করেন তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা দেখতে পারি এটা আমদানি করার বিষয়ে।

শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আমাদের মেম্বার। নির্মাণাধীন ভবনের পরিবেশ যেন ঠিক থাকে সে ব্যবস্থা করার জন্য বলবো তাদের।

ড. জাহাঙ্গীর বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে ৯৯ শতাংশ ভালো হয়ে যায়।  প্রয়োজন দ্রুত চিকিংসকের পরামর্শ নেওয়া। চিকিৎসার জন্য নূন্যতম এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আমাদের দেশে কাজের বুয়া থেকে মেট্রিক পাসও ডাক্তার। দয়া করে চিকিৎসার জন্য নূন্যতম এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে যাবেন।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খান বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে গরিবদের বিনামূল্যে ডেঙ্গু চিকিৎসা দিতে ডেঙ্গু কর্নার স্থাপন করা হবে।

ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআর পরিচালক তিথী চক্রবর্তী বেসরকারি হাসপাতালের জন্যও ডেঙ্গু কিটের ব্যবস্থার আহবান জানান।

এফবিসিসিআইর পরিচালক আবু মোতালেব ডেঙ্গু নিয়ে ব্যবসা না করার আহবান জানান। বলেন, ডেঙ্গু এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে।
উদ্ভিদ প্রযুক্তিবিদ ও  ডেভেলপমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টাল কনজারভেশন সেন্টার এর ফাউন্ডার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফেরদৌসী বেগম বলেন, যার যার বাসা তাদেরই পরিষ্কার রাখতে হবে। পানি যেন জমে না থাকে। ঔষুধি গাছ বেশি লাগাতে হবে। সিটি করপোরেশন রাস্তার পাশে নিম গাছ ও তুলসি পাতার গাছ লাগাতে পারে। এ গাছ পরিবেশের জন্য উপকারী।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, এফবিসিসিআিইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ।

(ঢাকাটাইমস/ ৪আগস্ট/জেআর/ইএস)