তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় সাক্ষ্য হয়নি

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৯, ২০:৩৭

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে ১১১ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছে আদালত।

রবিবার রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হাজির না করায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা জজ শরীফ এ এম রেজা জাকের নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

মামলাটিতে এ পর্যন্ত বাদীসহ ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, প্রতিষ্ঠানটির লোডার শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপার ভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, এ্যাডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল।

আসামিদের মধ্যে রানা, রাজ্জাক, মঞ্জুর ও দুলাল পলাতক রয়েছে।  

মামলাটি তদন্তের পর ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির পুলিশের ইন্সপেক্টর একেএম মহসীনুজ্জামন।

ভবনটির নকশায় ত্রুটি ও জরুরি নির্গমনের পথ না থাকায় এবং আগুন লাগার পর শ্রমিকরা বাইরে বের হতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা আগ্নিকাণ্ডকে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া বলে শ্রমিকদের কাজে ফেরত পাঠিয়ে কলাপসিবল গেট লাগিয়ে দেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১১১ জন পোশাক শ্রমিককর্মী জ্বলে অঙ্গার হন। আহত হন ১০৪ জন শ্রমিক। গার্মেন্টসটিতে এক হাজার ১৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন। কিন্তু দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ জন শ্রমিক সেখানে কর্মরত ছিলেন। নিহত ১১১ জনের মধ্যে তৃতীয় তলায় ৬৯ জন, চতুর্থ তলায় ২১ জন, পঞ্চম তলায় ১০ জন, পরবর্তীতে বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যান ১১ জন।

লাশ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮ জনকে তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৫৩ জনের লাশ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের অবস্থায় জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ঢাকাটাইমস/০৪আগস্ট/ইএস