চাঁদপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন, ১৫ ঘর নদীতে

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৯, ২১:০৮ | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০১৯, ২১:৩৩

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চাঁদপুরে মেঘনা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ব্লক ধসে পুরাণ বাজার হরিসভা এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।

জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেছে।

রবিবার দুপুর পর্যন্ত ওই এলাকার সেমি পাকা ও টিনের ১৫টি বসতঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে হরিসভা এলাকার চারটি মন্দির ও চলাচলের সড়ক। ওই এলাকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

শনিবার রাত ৯টার দিকে ভাঙন শুরু হয়। রাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘটনাস্থলে বালি ভর্তি ৫০০ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করে।

ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো হচ্ছে-হরিসভা এলাকার গুপিনাথ সাহা, আদিনাথ সাহা, সম্ভুনাথ দে, সুশান্ত দে, মানিক সাহা, সঞ্জয় চক্রবর্তী, বিমল দে, দ্বীপক দে, ধ্রুবরাজ সাহা, সুনীল দে, শ্যামল দে, ওয়াদে আলী শেখ, অঞ্জু শেখ, আমজাদ আলী মুন্সি ও কার্তিক সাহা।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় জানান, ভাঙন শুরু হওয়ার পরেই আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। গত বছরও একই স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি রক্ষায় স্পেশাল বরাদ্দ দেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজ না করায় আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ৫০০ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, গত কয়েক বছরই একই স্থানে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। পুরানবাজার এলাকার শহররক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। পুরাণ বাজার এলাকার বাকি অংশ ভাল থাকলেও প্রায় ৩০০ মিটার এলাকায় প্রতিবছর সমস্যা হচ্ছে। আমরা তাৎক্ষণিক জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। পরে ব্লক ফেলে স্থায়ী বাঁধ দেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৪আগস্ট/এলএ)