কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, চাচা আটক
নাটোরের সিংড়ায় রেশমী খাতুন নামে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেয়েটির চাচা শাহাদৎ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের দেওগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রেশমী খাতুন স্থানীয় বামিহাল অনার্স কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল। তিনি দেওয়াগাছা গ্রামের দিনমজুর আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী বলছে, উপজেলার পাকুরিয়াগ্রামে রেশমী খাতুনের বড় দাদা মারা যান। রেশমীর বাবা-মাসহ বাড়ির সবাই সেই জানাজায় যান। এসময় রেশমী খাতুন বাড়িতে একাই অবস্থান করছিলেন। এই সুযোগে চাচা শাহাদৎ হোসেন ভাতিজী রেশমী খাতুনকে ধর্ষণ করে মাটির ঘরের দোতলায় রেলিংয়ের ওপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে রেশমীর ছোট বোন স্থানীয় দেওগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতি খাতুন বাড়িতে এসে বড় বোনের লাশ দেখতে পায়। পাশেই চাচাকে দেখে সে চিৎকার শুরু করে। পরে এলাকাবাসী চাচা শাহাদৎ হোসেনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
নিহত রেশমী খাতুনের মা সোনাভান বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে ঘাতক শাহাদৎ হোসেন।’
সিংড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- রেশমীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আর শাহাদৎ হোসেনকে আটক করা হয়েছে।’
(ঢাকাটাইমস/৪আগস্ট/এলএ)