সাংবাদিক শিমুল হত্যা: মেয়র মিরুর জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৩০

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলায় পৌর মেয়র (সাময়িক বরখাস্তকৃত) হালীমুল হক মিরুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন। সোমবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ আদেশ দেন।

দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর শর্টগানের গুলিতে গুরুতর আহত হন। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার খাতুন বাদী হয়ে শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র মিরুকে প্রধান আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ একই বছরের ২ মে মেয়র মিরু, তার ভাই মিন্টুসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে মেয়র মিরু কারাগারে আছেন। তবে অপর ৩৭ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন। তারা এ পর্যন্ত জামিনেই আছেন।

এদিকে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তরের জন্য গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস পর গত ১৪ জুলাই ওই প্রজ্ঞাপনটি সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৌঁছে।

এরপর আলোচিত এ মামলাটি রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পৌঁছলে সোমবার রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে জামিনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়। এ দিন মেয়র মিরুর জামিন আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে মিরুকে আবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা মামলার অন্য ৩৭ জন আসামিকে ১০ হাজার টাকা বন্ডের বিনিময়ে বদলি জামিন দেয়া হয়। এ দিন তারাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় বাদী পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু। এছাড়াও ছিলেন আইনজীবী সুশান্ত সরকার, রোস্তম আলী ও মোমিনুল ইসলাম বাবু। আসামি মিরুর পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল আলিম মিয়া জুয়েল, রাজশাহীর আইনজীবী একরামুল হক, আসলাম সরকার, মোছাব্বিরুল সরকার প্রমুখ। আদালতের আদেশের পর মেয়র মিরুকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঢাকাটাইমস/৫আগস্ট/আরআর/এমআর