টাঙ্গাইলে স্ত্রী হত্যায় কনস্টেবলসহ দুজনের ফাঁসির আদেশ
টাঙ্গাইলে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক পুলিশ কনস্টেবল ও তার বন্ধুর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের হাকিম খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। এছাড়াও উভয়কে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মেদ।
তিনি জানান, সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল আলীম শিল্প পুলিশে কর্মরত অবস্থায় ২০১১ সালের ৬ মে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ফলিয়ারঘোনা গ্রামের সুলতান আহমেদের মেয়ে সুমি আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুমির বাবা তিন লাখ টাকা দিলেও বাকি ছিল দুই লাখ টাকা। যৌতুকের বাকি টাকার জন্য আব্দুল আলীম প্রায়ই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে স্ত্রী সুমি আক্তারকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এরপর ২০১২ সালের ২০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে আলীম তাঁর স্ত্রীকে শ^শুর বাড়ি থেকে নিয়ে যান। পরে তাকে ঢাকার তুরাগ থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে বন্ধু শামীম আল মামুুনের সহায়তায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন।
পরে আব্দুল আলীম গ্রেপ্তার হওয়ার পর হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় নিহত সুমির মা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় দুইজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকে আব্দুল আলীম কনস্টেবল পদ থেকে বরখাস্ত হয়ে কারাগারে আছেন।
সোমবার রায় ঘোষণার পর দুইজনকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/ইএস