খালেদার মানহানির দুই মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০১৯, ১৯:০৮

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান ভুয়া জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার মানহানির দুই মামলায় চার্জগঠনের শুনানির নতুন তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছে আদালত।

সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

কেরানীগঞ্জের কারাভবনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এ মামলাগুলোর শুনানি হয়।

এদিন আসামিপক্ষে আইনজীবীরা খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় সময়ের আবেদন করেন। 

২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ভুয়া জন্মদিনের মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন পালন করেন।

অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের মদদের মামলাটি ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী দায়ের করেন। ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই বছর ১২ অক্টোবর সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

মামলায় বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর কলঙ্কিত মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে সামরিক সরকারের দায়িত্ব দখল করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে তাকে হুমকি তার বাবার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেননি। এ ছাড়া খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর রাজাকারদের হাতে মন্ত্রিত্ব তুলে দেন। যার মাধ্যমে স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকা মানহানি ঘটিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/আরজেড/জেবি)