মিয়ানমার থেকে পশু গবাদি আমদানি নিষিদ্ধ

প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০১৯, ২২:০০

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

দেশীয় খামারিদের কথা চিন্তায় রেখে মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আমদানি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সরকার। এতে লোকসান গুনতে হবে শত শত কোটি টাকা। ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। 

মঙ্গলবার থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে মিয়ানমারের গবাদি পশু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান।

তিনি বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে কোনভাবেই মিয়ানমার গরু-মহিষ আমদানি করা যাবে না। পরবর্তী নিদের্শনা না আসার পর্যন্ত এই নির্দেশনা অব্যাহত থাকবে। এই বিষয়ে লিখিতভাবে বিজিবি ও শুল্ক স্টেশনকে অবহিত করা হবে।’

তবে এর আগে দীর্ঘ ধরে অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আসছিল, সেগুলো শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে ভ্যাট আদায় করে বৈধ করা হয়েছিল।

এদিকে সর্বশেষ আগষ্ট মাসের প্রথম দুই দিনে মিয়ানমার থেকে দুই হাজার ৬২৮টি পশু শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে আসে। আমদানিকৃত পশু থেকে ১৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এছাড়া জুলাই মাসে ১০ হাজার ৯৫টি পশু আসে। তাছাড়া সদ্য সমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭৫ হাজার ৫২১টি। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৭টি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬৬ হাজার ৯৩৬টি পশু আমদানি হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

টেকনাফ উপজেলার পশু আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সৈয়দ বলেন, সামনে কোরবানি। হঠাৎ মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু বন্ধের সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীদের শত কোটি টাকার লোকসান পোহাতে হবে। কারণ মিয়ানমারে পশু ব্যবসায়ীদের শত শত কোটি টাকা দাদন দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া কোরবানিকে সামনে রেখে সেদেশে অনেক পশু মজুদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পশুবোঝাই কিছু ট্রলার আসার পথে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের লোকসানের কথা ভেবে পশু আমদানি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।’

টেকনাফে বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান জানান, মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধের নির্দেশনা এখনো পাইনি। আমি যতটুকু জানি, সাগর উত্তালের কারণে পশু আসা বন্ধ রয়েছে।

টেকনাফ শুল্ক কর্মকর্তা ময়েজ উদ্দীন বলেন, মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বিষয়ে কোন নির্দশনা পাইনি। নির্দেশনা হাতে ফেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ করিডোরটি শুল্ক স্টেশনের আওতাধীন জোন। ২০০৩ সালে ২৫ মে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গবাদিপশু আসারোধে বিজিবির চৌকি-সংলগ্ন এলাকায় এ করিডোর চালু করা হয়। আমদানি করা গবাদিপশু প্রথমে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে রাজস্ব জমা এবং স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের অনুমতি নিয়ে গবাদিপশুগুলো করিডোর থেকে ছাড়পত্র নেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/৬আগস্ট/এলএ)