‘তিনি ডেঙ্গুতে মারা যাননি’

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০১৯, ১৫:২১ | প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট ২০১৯, ১৫:১৫

জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় এক সপ্তাহ আগে ফরিদপুর মেডিকেল ভর্তি হয়েছিলেন আব্দুল জলিল। জ্বর কিছুটা স্বাভাবিক হলে ফিরে যান বাড়িতে। অবস্থা আবারও খারাপ হলে বুধবার সকালে তাকে ফের নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেলে। সেখানে কিছু সময় চিকিৎসা নেওয়ার পর না ফেরার দেশে চলে যান নগরকান্দা উপজেলার এই বাসিন্দা।

হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যু সনদে আব্দুল জলিলের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গু বলা হলেও পরে হাসপাতালের পরিচালক কামদা প্রসাদ সাহা জানান, ডেঙ্গুতে তার মৃত্যু হয়নি। আগে যে মৃত্যুর সনদ দেওয়া হয়েছিল সেটি সঠিক নয়।

মারা যাওয়া আব্দুল জলিল সরদার। পেশায় তিনি কৃষক। তার বাড়ি নগরকান্দা উপজেলার নারুয়াহাটি গ্রামে।

আব্দুল জলিল সরদারের ছেলে মিরাজুল সরদার জানান, এক সপ্তাহ আগে তার বাবার ডেঙ্গু জ্বর ধরা পরে। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়। সুস্থ হলে তাকে বাড়ি নিয়ে যাই।

বুধবার সকালে অবস্থা খারাপ হলে তাকে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা। এর কিছু সময় পরই সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা মৃত্যু প্রমাণ সনদের এক স্থানে আব্দুল জলিলের মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা রয়েছে ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রম’।

তবে হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার কামদা প্রসাদ সাহা জানান, ‘তার মৃত্যু হয়েছে এটি নিশ্চিত, তবে তা ডেঙ্গুতে নয়।’

মৃত্যু প্রমাণ সনদের কথা উল্লেখ করে প্রশ্ন করলে কামদা প্রসাদ জানান, ‘সেটি সঠিক নয়, পরবর্তীতে নতুন ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, ফরিদপুরে বিভিন্ন হাসপাতালে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৮৮ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ২৩৬ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন।

ঢাকাটাইমস/৭আগস্ট/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :