শ্রীলঙ্কান নাগরিক হত্যায় দুজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৫৬

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় সুহারা উম্মা ওরফে ফারজিয়া অহিদা নামক এক শ্রীলঙ্কান নাগরিক হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

১৫ বছর আগের এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় দণ্ডিত হলেন- চাঁদপুরের মতলব থানার মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে মফিজ উদ্দিন সরকার ওরফে মফিজ এবং রংপুরের কাউনিয়া থানার মৃত আবুলের ছেলে আবু জাহের ওরফে জাহের খান। রায়ে দণ্ডিতদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। দণ্ডিত উভয় আসামি পলাতক।

অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া আবুল হোসেন নামের এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

সুহারা উম্মা হত্যার ঘটনায় তার দেবর আব্বাস আলী ২০০৪ সালের ২৮ জানুয়ারি শ্যামপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ, বাদীর ভাই জহিরুল ইসলাম ওরফে হাফিজ কুয়েত থাকাকালে শ্রীলঙ্কান নাগরিক সুহারা উম্মার সাথে পরিচয় হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এরপর থেকে সুহারা উম্মা তার ছেলে শাকিলকে নিয়ে শ্যামপুরের জিয়া সরনি গ্যাস রোডে বসবাস করতে থাকেন। ২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সুহারা উম্মার বাসায় তাদের ভাড়াটিয়া আবুল হোসেনের ভায়রা মফিজ ও তার এক বন্ধু যান। পরে সুহারা উম্মাকে তারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে চার্জশিটে বলা হয়।

মামলা তদন্তের পর শ্যামপুর থানার এসআই সোহেল আহমেদ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ফজুলল হক সরকার ওরফে হান্নান নামে এক আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

(ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/আরজেড/জেবি)