নদীগুলো বেঁচে থাকুক

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০১৯, ১৫:০৩

প্রভাষ আমিন

বাংলাদেশকে আমি ভালোবাসি অন্তর থেকে। তবুও বাংলাদেশের অনেককিছু নিয়ে মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে যাই। বিশেষ করে একবার যখন কিছু হয়ে যায়, সেটা আর কখনো ফিরে আসে না। আমরা দখলে খুব ওস্তাদ। সুযোগ পেলেই সীমানাটা একটু ঠেলে দিই। আমরা খাল-বিল-নদী-নালা সব দখল করে ফেলি। আমরা জমি দখল করি, রাস্তা দখল করি, মাঠ দখল করি, বন দখল করি। একবার দখল হয়ে গেলে আর সেটা ফিরে পাওয়া যায় না। এই যে ঢাকার বুকে জালের মত বিছানো খাল ছিল। সেগুলো এখন কোথায়? আমি বা আপনি, আমরাই কেউ না কেউ দখল করেছি। বৃটিশ আমলে বাংলাদেশে নদী ছিল হাজারের ওপরে। ষাটেরদশকেও ছিল ৭৫০টি নদী। এখন বাংলাদেশে মূল নদীর সংখ্যা ২৩০টি। এই হারে কমতে থাকলে নদীমাতৃক বাংলাদেশ একদা নদীমুক্ত হয়ে যাবে।

তো এই নদীগুলো কই গেল? কে খেলো? কে দখল করলো? নিশ্চয়ই অন্য কোনো দেশ বা অন্য কোনো গ্রহ থেকে অ্যালিয়েনরা ওসে মূল্যবান নদীগুলোকে তুলে নিয়ে যায়নি। আমরাই দখল করেছি। মাঝে মাঝে সরকার অবশ্য দখলের বিরুদ্ধে লোক দেখানো অভিযান চালায়। কিন্তু এসব অভিযানে আমার কখনোই কোনো আস্থা নেই। কারণ নদী যারা দখল করে; তারা শক্তিশালী, প্রভাবশালী। তাদের উচ্ছেদ করার ক্ষমতা সরকারেরও থাকে না। তাই উচ্ছেদ অভিযানের কথা শুনলেই আমি মুখ ঘুরিয়ে নেই। আমাদের দেশে উচ্ছেদ হলো ঢেউয়ের মত। একদিকে উচ্ছেদ হবে, পেছনে আবার দখল হবে। এবার আমার এতদিনের বিশ্বাসে আঘাত লেগেছে। অভিযানে যে সত্যি সত্যি উচ্ছেদ হয়, এই প্রথম সেটা দেখলাম।

গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকার চারপাশে নদী উদ্ধারে যে অভিযান শুরু হয়েছে, শুরুর দিকে আমি ভেবেছি, এও বুঝি আগের মত লোক দেখানো উচ্ছেদ। দুদিন বাদে আবার সব ঠিকঠাক। কিন্তু বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি, এবার আগের মত নয়, এ যেন অন্য এক অভিযান। শুরুর দিকেই এটিএন নিউজের এক টক শোতে বিআইডব্লিউটিএ'র তখনকার চেয়ারম্যান আমাকে এবারের অভিযান নিয়ে দৃঢ় আশাবাদের কথা শুনিয়েছিলেন, বলেছিলেন সরকারের প্রধান নির্বাহীর গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া গেছে; এবার কেউ রেহাই পাবে না। তাও আমি বিশ্বাস করিনি। আসলে চুন খেয়ে খেয়ে আমাদের মুখ এমনভাবে পুড়েছে, এখন দই দেখলেও বিশ্বাস করি না। 

গত নভেম্বরে সাপ্তাহিক এই সময়ে 'আহা, এইখানে এক নদী ছিল...' শিরোনামে একটা লেখা লিখেছিলাম। সেই লেখায় নদী নিয়ে আমার ভালোবাসার কথা, নদী দখল হয়ে যাওয়ায় আফসোসের কথা ছিল। সে লেখার শেষটা আবার উদ্ধৃত করছি, 'নদী বাঁচাতে আমাদের আন্তরিকতা, ভালোবাসা যেমন দরকার; তেমনি চাই সরকারের সদিচ্ছা। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেই যেতে হবে দাবি নিয়ে। তাদের সময় না থাকলে জোর করতে হবে। তবে সব কাজ রাজনীতিবিদদের ঘাড়ে চাপিয়ে নিশ্চিন্ত থাকার সুযোগ নেই। দায়িত্বটা আমাদের সবার। চেষ্টা করুন, আপনারপাশের নদীটা যাতে কেউ দখল করতে না পারে, কেউ যাতে নদীতে ময়লা না ফেলে। নদী পবিত্র, নদী মায়ের মত; তাকে সম্মান করুন। আপনার ছেলেবেলার নদীটা কি বেঁচে আছে না মরে গেছে? মরে গেলে বাঁচানোর চেষ্টা করুন। বেঁচে থাকলে রক্ষা করুন। নদী বাঁচাতে চিৎকার করুন জোরে, যাতে নীতিনির্ধারকদের কান পর্যন্ত পৌছায়।' আমাদের চিৎকার নীতিনির্ধারকদের কান পর্যন্ত পৌছেছে কিনা জানি না, তবে গত ২৯ জানুয়ারি থেকে একটা কার্যকর অভিযান চলছে। 

আগের লেখায় আমি নদী নিয়ে একটা স্বপ্নের কথা লিখেছিলাম। সবারই শেষ জীবন কাটানোর একটা স্বপ্ন থাকে। কারো স্বপ্ন পূরণ হয়, কারোটা হয় না। আমার স্বপ্নটা ছোট, কিন্তু জানি পূরণ হবে না। আহা আমার যদি ছোট্ট একটা নদীর পাড়ে, ছোট্ট একটা কুড়েঘর থাকতো। সেখানে ফেসবুক দরকার নেই, ইন্টারনেট লাগবে না; খালি বই পড়া আর গান শোনার ব্যবস্থা থাকলেই হবে। সকালে নদীর পাড়ে হাঁটবো, বুক ভরে নেবো ফ্রেশ অক্সিজেন, দুপুরে নদীতে সাঁতার কাটবো, বিকেলে নদীর পাড়ে আরাম কেদারায় বসে বই পড়বো আর গান শুনবো। রাতে নদী থেকে আসা ভেজা হাওয়া গায়ে মেখে, বাতাসে ভেসে আসা ফুলের গন্ধে ঘুমিয়ে যাবো।

আমি গরিব মানুষ, তাই কুড়েঘরের স্বপ্ন। কিন্তু নদী তীরে থাকার স্বপ্ন অনেকেরই থাকে। তাই নদী তীরে আবাসিক এলাকায় প্লটের দাম বেশি হয়। কাছাকাছি কোনো একটা খাল থাকলেও আবাসিক এলাকার নামের সাথে 'রিভারভিউ' লেখা থাকে। সাধারণত নদীর পাড়ে জমি দখল করে আবাসিক এলাকা করা হয়। কিন্তু মোহাম্মদপুরের বছিলায় আমিন মোমিন আবাসিক এলাকার মালিকেরা নদীর তীরের নয়, একেবারে নদীর বুকে ঘর বানানোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছিলেন। তুরাগের আস্ত একটি চ্যানেল দখল করে আবাসিক এলাকা বানিয়েছিলেন তারা।

এবারের অভুতপূর্ব উচ্ছেদের কবলে পড়েছে আমিন-মোমিনও। শুধু উচ্ছেদ করেই সরকার বসে থাকেনি। তুরাগের হারিয়ে যাওয়া চ্যানেলটি খনন করে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দুদিন আগে যেখানে ছিল আবাসিক এলাকা; এখন সেখানে টলমলে জলের নদী; রীতিমত বড় নৌকা চলে। কী বিস্ময়কর আনন্দ অভিজ্ঞতা! হারিয়ে যাওয়া আস্ত এক টুকরো নদী ফিরে পাওয়া গেছে; বহুদিন এরচেয়ে বড় কোনো সুসংবাদ শুনিনি। শিল্পী এখন গাইবে, 'আমার একটা নদী আছে...।

গত ২৯ জানুয়ারি শুরু অসাধারণ এই অভিযান শেষ হয়নি এখনও। চার দফায় মোট ৫০ কার্যদিবসে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর উভয় পাশে ১৫৭ কিলোমিটার এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। অবমুক্ত করা হয়েছে মোট ১২১ একর জমি। অভিযানে ছোট বড় মিলিয়ে ৪ হাজার ৭৭২টি স্খাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমিম মোমিন ছাড়াও মধু সিটি, ঢাকা উদ্যান, বসিলা গার্ডেন সিটি, আমিন মোহাম্মদ, বিশ্বাস বিল্ডার্সসহ কয়েকটি হাউজিং কোম্পানির দখলে থাকা জমিও উদ্ধার করা হয়েছে অভিযানে।

তবে শুধু উচ্ছেদ করলেই হয় না, সেটাকে টেকসই করতে চাই পরিকল্পনা। এবারই প্রথম তেমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উচ্ছেদ পরবর্তী নদী উন্নয়নের জন্য ৮৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এ প্রকল্প ২২শ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। এ প্রকল্পে ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সীমানা চিহ্নিত জন্য ১০ হাজার পিলার স্থাপন করা হবে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এছাড়া তিনটি ইকোপার্ক ও ২০টি জেটি নির্মাণ হবে। হবে একটি অপেরা হাউস। 

কদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, টেমস নদী দেখতে আর লন্ডনে যেতে হবে না। বুড়িগঙ্গায়ই দেখা যাবে টেমসের সৌন্দর্য্য। এ নিয়ে ফেসবুকে অনেক ট্রল হয়েছে। কিন্তু বুড়িগঙ্গা টেমসের মত হবে কেন। বাংলাদেশের নদীর সৌন্দর্য্যই অন্যরকম। প্রকল্পের টাকাগুলো যদি জলে না যায়, তাহলে লন্ডন থেকে মানুষ বাংলাদেশের নদীর সৌন্দর্য দেখতে আসবে। একবার ভাবুন তো ঢাকা ছাড়া পৃথিবীতে কয়টা শহর আছে, যার চারপাশে চারটা মিষ্টি পানির নদী আছে। সৃষ্টিকর্তার দেয়া এই অমূল্য সম্পদকে আমরা নোংরা আবর্জনার ড্রেনে পরিণত করেছি। আমরা আসলে পুরোপুরি মানুষ নই। আমার বিশ্বাস, ঢাকার চারপাশ এবং বাংলাদেশের নদীভিত্তিক পর্যটনকে পরিচর্যা করলেই বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন সম্ভব। ঝুম বর্ষায় পদ্সার মাঝখানে নিরাপদ নৌযানে বসে নদী, প্রকৃতি, আকাশ আর বৃষ্টি দেখার আনন্দ কিন্তু টাকা দিয়ে কেনা যাবে না। আচ্ছা বৈদেশিক মূদ্রার কথা বাদ দেন, আপনি কবে শেষ নদীর জলে পা ভিজিয়েছেন, নৌকায় চড়েছেন? অথচ ঢাকার যেখানেই থাকুন, ১০/১৫ কিলোমিটারের মধ্যেই কিন্তু কোনো না কোনো নদীর দেখা পেয়ে যাবেন।

বলা হয় নদীমাতৃক বাংলাদেশ। আসলেই কিন্তু নদী আমাদের মা। বাংলাদেশ আসলে একটি ব-দ্বীপ। নদীর পলি জমে জমেই বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। নদী তার বুকে করে পলি বয়ে আনে বলেই বাংলাদেশ সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামলা। এই উর্বর ভূমির কল্যাণেই আমরা ১৬ কোটি মানুষ এখনওখেয়ে বেঁচে আছি।

নদীকে কেন্দ্র করেই বিকশিত হয়েছে এ অঞ্চলের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য। গড়ে উঠেছে শহর-বন্দর। বুড়িগঙ্গার তীরে ঢাকা, শীতলক্ষ্যার তীরে নারায়ণগঞ্জ, পদ্মার তীরে রাজশাহী, ব্রহ্মপুত্রের তীরে ময়মনসিংহ, গোমতীর তীরে কুমিল্লা, কর্ণফুলীর তীরে চট্টগ্রাম- এভাবেই এ অঞ্চলের বাণিজ্যের বিকাশ, সভ্যতার পত্তন ঘটেছে।

শিল্প-সাহিত্য গানে নদীরবিপুল বিস্তার। নদীর বুকে মাঝির কণ্ঠে ভাটিয়ালীই বাংলার সুর। পদ্মা নদীর মাঝি, তিতাস একটি নদীর নাম'এর মতকালজয়ী উপন্যাস, পরে যা থেকে কালজয়ী সিনেমাও হয়েছে। মাইকেল মধুসুদন দত্ত বিশ্ব ঘুরেছেন, কিন্তু তার হৃদয়জুড়েকপোতাক্ষ নদ। নজরুল শূন্য হৃদয় বিসর্জন দিতে চান পদ্মার ঢেউয়ে, তাঁর প্রেয়সী অপেক্ষা করে, 'গোমতীর তীরে পাতার কুটিরে'। রবীন্দ্রনাথ বজরায় পদ্মার বুকে ভেসে রচনা করেছেন অমর সব কাব্য। বাংলাদেশে কবিতা লিখেছেন, কিন্তু তাতে নদীর ছোঁয়া নেই, এমন খুঁজে পাওয়া ভার। নদী মিশে আছে আমাদেরসাহিত্য-সংস্কৃতিতে, অর্থনীতিতে, ধর্মে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাসকরেন গঙ্গাস্নানে পূণ্য হয়। আবার দেবী বিসর্জন দিতেও কিন্তু নদী লাগে। আহা নদী আমাদের কত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না ধারন করে বয়ে চলে।

'নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমারবিশ্বাস' কবির এই আক্ষেপের জন্যও নদী লাগে। 'এ কূল ভেঙ্গে, ওকূল তুমি গড়ো, যার এ কূল, ও কূল গেল তার লাগি কী করো?' কবির এই প্রশ্ন আমাদেরকেও বিরহ বেদনায় কাতর করে। এপার ভাঙে, ওপার গড়ে এই তো নদীর খেলা। কিন্তু এই খেলার জন্য তো তেমন নদী লাগবে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন এমন নদী কয়টা আছে? রাক্ষুসে পদ্মা যেমন গিলে খায় আমাদের ঘরবাড়ি। তেমনিআমরাও সুযোগ পেলে দুর্বল নদী দখল করে ঘর বানাই।

বাংলাদেশে নদীর দারুণ বৈচিত্র্য নামে, লিঙ্গে, ধরনে। বাংলাদেশে নদী যেমন আছে, নদও আছে। কপোতাক্ষ, আড়িয়াল খাঁ নদী নয়, নদ। প্রত্যেকটা নদ বা নদীর আলাদা গল্প আছে, ইতিহাস আছে, মিথ আছে। চট্টগ্রামের হালদা নদী মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্র।পদ্মার ইলিশ আর মেঘনার ইলিশের স্বাদ আলাদা। নাম শুনেই আমি অনেক অদেখা নদীর প্রেমে পড়ে যাই। আর ভাবি, যারা এই নামগুলো রেখেছেন, তারা কী দারুণ রোমান্টিক ছিলেন। আন্ধারমানিক, ইছামতি, ইলশা, কর্ণঝরা, কর্ণফুলী, কীর্তনখোলা, কীর্তিনাশা, খোলপেটুয়া, চিত্রা, ঝিংরি, টঙ্কাবতী, টিয়াখালী, তুলসীগঙ্গা, তোয়া, দুধ কুমার, ধানসিঁড়ি, নবগঙ্গা, পানগুছি, পায়রা, ফুলকুমার, ফুলজোড়, মধুমতি, ময়না কাঁটা, মুক্তেশ্বরী, যমুনেশ্বরী, রায়মঙ্গল, লাউকাঠি, সোমেশ্বরী, সুগন্ধা, হরিণঘাটা, হুরাসাগর- কি চমৎকার সব নাম। নাম শুনলেই হৃদয়টা ভিজে যায়, চোখেরসামনে ভাসে একটা টলটলা পানির স্রোত, যা বয়ে চলে কলকল ধ্বনিতে।

জাতি হিসেবে আমরা আত্মহননপ্রবণ। যে নদী আমাদের বাঁচিয়ে রাখে, সে নদীকে আমরা মেরে ফেলি। আমাদের লোভের থাবায় অসহায় নদী ছোট হতে হতে একসময় মরে যায়। খনন করে আপনি খাল বানাতে পারবেন, নদী নয়। তবে খনন করে মরা নদীকে বাঁচানো যায়; যেমন খুলে দেয়া হয়েছে তুরাগের একটি চ্যানেল। নদী মানে স্রোত থাকবে, জোয়ার-ভাটা থাকবে।

আমরা জানি ঢাকার চারপাশের চারটি নদী বাঁচাতে যে অভিযান চলছে; তা যথেষ্ট নয়। হয়তো এটা শুরুমাত্র। তবে শুরুটা দারুণ। তারচেয়ে বড় কথা হলো, সবচেয়ে জরুরি যেটা, সেই রাজনৈতিক সদিচ্ছাও আছে। নদী দখলদাররা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী। তাই তাদের উচ্ছেদেও চাই রাজনৈতিক দৃঢ়তা। নদী বাঁচানোর এ অভিযান চলতেই থাকুক।

আমরা চাই বিদেশিরা শুধু নদীর সৌন্দর্য্য দেখতেই বাংলাদেশে আসুক। মাঝ নদীতে ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় গেয়ে উঠুক, ' মাঝি বাইয়া যাওরে, অকূল দরিয়ার মাঝ, আমার ভাঙ্গা নাও...'

লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক