ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে সৎভাই খুন করেন রুপাকে!

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৯, ২১:২৭ | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০১৯, ২১:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
মতিঝিলের সিটি সেন্টার যার ১৪ তলা থেকে ফেলে দেয়া হয় রুপাকে

রাজধানীর মতিঝিলের সিটি সেন্টারের ১৪ তলা থেকে পড়ে তানজিনা আক্তার রুপা নামে যে নারী নিহত হয়েছেন এর পেছনে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এবং একমাত্র আসামি তার সৎভাই যুবায়ের আহমেদ সম্রাট ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তাকে গলা টিপে হত্যার পর ১৪ তলা থেকে নিচে ফেলে দেন। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি নিজেই এটা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

শনিবার বিকালে রুপাকে খুনের পরপরই গ্রেপ্তার করা হয় সৎভাই সম্রাটকে। রবিবার আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার রাতে নিহত তানজিনা আক্তার রুপার মা সালেহা আক্তার বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় যুবায়ের আহমেদ সম্রাটকে একমাত্র আসামি করা হয়। মামলাটির তদন্ত করছেন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক আরিফুল ইসলাম।

পুলিশ কর্মকর্তা আরিফুল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সম্রাটকে আদালতে পাঠানো হলে তিনি সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’

যুবায়ের আহমেদ সম্রাটের  জবানবন্দির বরাত দিয়ে এসআই আরিফুল ইসলাম ঢাকাটাইসমসকে বলেন, ‘সিটি সেন্টারের বহুতল ভবন দেখানোর কথা বলে রুপাকে নিয়ে যান সম্রাট। সেখানে একটি রুমে নিয়ে রুপার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন তিনি। এতে রুপা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে সম্রাট তার গলা টিপে ধরেন। এতে এক পর্যায়ে রুপা মারা যান। পরে লাশ গোপন করতেই ১৪ তলা থেকে রুপাকে নিচে ফেলে দেন সম্রাট। পরে তিনি নিজেই সৎ বোনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।’

এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রুপার লাশ তার পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। ঢাকাতেই তার লাশ দাফন করা হয়েছে।

শনিবার বিকালে রাজধানীর মতিঝিলের ৩৭ তলা সিটি সেন্টারের ১৪ তলা থেকে পড়ে তানজিনা আক্তার রুপার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার সৎভাই যুবায়ের আহমেদ সম্রাটকে আটক করে পুলিশ।

নিহত রুপা রাজধানীর গোড়ানের আলী আহম্মেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের বাসা খিলগাঁওয়ে।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/এএ/জেবি)