রাজধানীতে খালে ফেলা হচ্ছে কোরবানির বর্জ্য

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০১৯, ১৮:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা থাকার পরেও অনেকেই নিজেদের আঙিনা পরিষ্কার করতে তা ফেলে দিচ্ছেন আশপাশের খালে। এতে উদ্ধারকৃত খালগুলো আবার ভরাট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। রাজধানীর রামচন্দ্রপুর খালের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয়রা গাড়িতে করে এনে কোরবানির বর্জ্য সেখানে ফেলছেন। অনেকে খালের পাড় ঘেঁষে বসেছেন গরুর ভুঁড়ি পরিষ্কার করতে। ভুড়ির গোবর পরিষ্কারের পাশাপাশি অন্যান্য ময়লাও ফেলা হচ্ছে খালে।

রামচন্দ্রপুর খালের মোহাম্মদীয়া হাউজিং, নবোদয় হাউজিং, রায়ের বাজার, কাঁটাসুর এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। অথচ কিছুদিন আগেই পরিষ্কার করা হয় খালটি। এতে ফিরে আসে পানির প্রবাহ। কোথাও কোথাও এখনো কাজ চলমান।

স্থানীয়দের মতে, যারা পয়ঃনিষ্কাশন খালে কোরবানির বর্জ্য ফেলছে তারা সারা বছর একই কাজ করেন। দৈনন্দিনের আবর্জনাও তারা খালে ফেলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কোরবানির ময়লা নেয়ার জন্য সকাল থেকে ময়লার গাড়ি ঘুরছে। সবার বাসার ময়লাই নিচ্ছে। কিন্তু এরা গাড়িতে দেয় না।’

একই চিত্র খালের শেখেরটেক, আদাবর অংশেও। সেখানেও পড়ে থাকতে দেখা গেছে মাদুর, গরুর শরীরের অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো।

আদাবরের বাসিন্দা মো. শামিম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘খাল তো দেখি ময়লা ফেলানোরই জায়গা। সারা বছর ফালায় এটা যদি দোষ না হয়, তাহলে আজকে আর দোষের কী? কেউ তো তাদের কিছু বলে না। তাই তারাও সাহস পাইছে।’

কামরাঙ্গীর চরের বাসিন্দা ইব্রাহিম ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমার জন্মের পর থেকে আমি খালটা ময়লাই দেখছি। প্রায় ২০ বছর পর পরিষ্কার করছে। আবার ময়লা ফেলতেছে। সরকার একটু শক্ত না হলে লাভ হবে না।’

রামচন্দ্রপুরের খালের মতো খেয়ালখুশি মতো অপব্যবহার হচ্ছে ঢাকার অন্যান্য খালগুলোও। মিরপুর খাল, মান্ডা-মুগদা খাল, কামরাঙ্গীরচর খাল, কল্যাণপুর খালসহ বেশ কয়েকটি খালের একই দশা। সেখানেও ফেলা হচ্ছে কোরবানির বর্জ্য।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/কারই/জেবি)