ক্রিকেট ইতিহাসের নাটকীয় এক ম্যাচ

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০১৯, ১১:২১

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মাত্র একমাস আগেই বিশ্বকাপের ফাইনাল উপহার দিয়েছিল ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে থ্রিলার ম্যাচটির। নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলা টাই, এরপর সুপার ওভারও টাই। শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারি ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ।

এক মাসের ব্যবধানে আরও একটি ফাইনাল গড়ালো সুপার ওভারে। যদিও এবার আর সুপার ওভারে থ্রিলারটা অসমাপ্ত থাকেনি। জিতেছে এক দল। কানাডায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের মেগা ফাইনালে সুপার ওভারে গিয়ে শোয়েব মালিকের দল ভ্যাঙ্কুভার নাইটসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো উইনিপেগ হকস।

অথচ, আন্দ্রে রাসেল যে ঝড় তুলেছিলেন, তাতে সুপার ওভারের থ্রিলার জন্ম নেবারই কথা ছিল না। মাত্র ২০ বলে শেষ মুহূর্তে অপরাজিত ৪৬ রান করেও তিনি নির্ধারিত ২০ ওভারে জেতাতে পারেননি নিজের দল ভ্যাঙ্কুভার নাইটসকে।

রোববার রাতে ব্রাম্পটনের সিএএ সেন্টোরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শাইমান আনোয়ারের বিধ্বংসী ৪৫ বলে ৯০ রানের ওপর ভর করে ভ্যাঙ্কুভারের ওপর ১৯৩ রানের বড় লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দেয় উইনিপেগ হকস।

জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৫৩ রানে ৪ উইকেট খুঁইয়ে বড় বিপদে পড়ে যায় শোয়েব মালিকের দল ভ্যাঙ্কুভার নাইটস। সেখান থেকে অধিনায়ক শোয়েব মালিকের ৩৬ বলে ৬৪ রানের ইনিংস তাদের ম্যাচে ফেরালেও শেষ ১৯ বলে ৫৪ রান প্রয়োজন হয়ে পড়ে ভ্যাঙ্কুভারের।

এ অবস্থায় জ্বলে ওঠেন আন্দ্রে রাসেলের ব্যাট। ২০ বলে তার অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সম সংখ্যক রানে শেষ হয় ভ্যাঙ্কুভারের ইনিংস। ৩ চার আর ৫ ছক্কায় ম্যাচের মোড় ঘোরান আন্দ্রে রাসেল।

শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। থ্রিলার ম্যাচে সুপার ওভারে যদিও বাজিমাত করে যায় উইনিপেগ। ২ উইকেট হারিয়ে ৬ বলে মাত্র ৯ রান তুলতে সমর্থ হয় ভ্যাঙ্কুভার নাইটস। ৭ রান আসে রাসেলের ব্যাট থেকে। ২ বল বাকি থাকতেই সেই রান তুলে নেয় উইনিপেগ হকস। ব্যর্থ হয়ে যায় রাসেলের বিধ্বংসী ইনিংস। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টির প্রথম সংস্করণের শিরোপা দখল করে নেয় ক্রিস লিন, জেপি ডুমিনিদের দল উইনিপেগ হকস।

উইনিপেগ হকসের সাইমান আনোয়ারকে নিয়েও আলাদা করে বলতে হয়। প্রথমে ব্যাট করে এ দিন চ্যাম্পিয়ন দলের হয়ে ৯০ রানের ধামাকা ইনিংস খেলে দলকে ২০০ রানের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে সাহায্য করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ব্যাটসম্যান। ২০০ স্ট্রাইক রেটে তার ৪৫ বলের ইনিংস সাজানো ছিল ৮টি বাউন্ডারি এবং ৭টি ছক্কায়। এছাড়াও লিনের ২১ বলে ৩৭ ও ডুমিনির ২৭ বলে ৩৩ রান উইনিপেগকে বড় রান তুলতে সাহায্য করে।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/ডিএইচ)