বাপেক্সের কর্মকর্তাসহ ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০১৯, ১৩:৪০ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০১৯, ১৫:২৯

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

ঈদের ছুটির মধ্যে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামিয়া নামের ৫ বছর বয়সী এক শিশু এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে মাহবুব উল্লাহ নামের বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বাপেক্স) এক প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে।

আর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মোহাম্মদ রাসেল নামের ৩২ বছর বয়সী এক যুবক। তিনি ঢাকার রমনা পার্কের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছিলেন। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার ছেলে রাসেল ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন।

সরকারিভাবে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও বিভিন্ন জেলার চিকিৎসকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে সারাদেশে অন্তত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে।

বিএসএমএমইউর জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার ঢাকাটাইমসকে জানান, বাপেক্সের প্রকৌশলী মাহবুব উল্লাহ সোমবার দিবাগত রাতে আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

বাপেক্সের একটি সূত্র জানায়, মাহবুব উল্লাহ ডেঙ্গুতে ভুগছিলেন। ঈদের দিন সকালে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি  হন। পরে সোমবার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশায়।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের উপ পরিচালক মামুন মোর্শেদ জানান, দুদিন আগে আগারগাঁও তালতলা থেকে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সামিয়া। সে ছিল শক সিনড্রোমের রোগী। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টায় সামিয়া মারা যায়।

খুলনা ব্যুরো জানিয়েছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে রাসেল ঢাকায় অসুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন। ডেঙ্গু ধরা পড়ায় কয়েক দিন আগে তাকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানান খুলনার সিভিল সার্জন এ এস এম আব্দুর রাজ্জাক।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার পার্থ প্রতিম দেবনাথ জানান।

স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, এবছর সব মিলিয়ে সোমবার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে এ মাসের প্রথম ১১ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।

ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/ডিএম