কাশ্মীর সমস্যা মধ্যস্থতার ঐতিহাসিক দায়িত্ব যুক্তরাজ্যের

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৫২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ব্রিটিশ মেম্বার অব পার্লামেন্ট (এমপি) ইভান লেউইস বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সরকারের কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব আছে।

সোমবার এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সরকার পরিচালিত সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তান জানায়, তিনি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাবকে লেখা একটি চিঠিতে এ কথা বলেন।

ইভান লেউইস বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান বিভক্ত হওয়ার পর গত ৭০ বছর ধরে সহিংসতা এবং আঞ্চলিক সংঘাতের মূলকেন্দ্র হয়েছে কাশ্মীর অঞ্চলটি।

তিনি বলেন, আমাদের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে এক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব আছে ব্রিটিশ সরকারের।

তিনি আরও বলেন, আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার উপমহাদেশটি ত্যাগের সময় কাশ্মীরিদেরকে ভারতের অধীন করার পর অঞ্চলটিতে প্রথম উত্তেজনা দেখা যায়।

গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মাধ্যমে ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ এবং কাশ্মীর ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে।

ভারতের এসব পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে ৭ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (এনএসসি) পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো- ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করা, দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করা; পাকিস্তান-ভারতের দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করা; বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়া এবং আগামী ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানানো এবং ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করা। এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতরা আর নয়াদিল্লিতে থাকবেন না এবং তাদের রাষ্ট্রদূতদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/দেলোয়ার)