ঢাকা উত্তরেও শতভাগ বর্জ্য অপসারণের দাবি

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মতো উত্তরেও শতভাগ বর্জ্য অপসারণের দাবি করেছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ২৩৪ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিলে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এসব তথ্য জানান। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মেয়র আতিক জানান, মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত ওয়েব্রিজের তথ্য অনুযায়ী দুই হাজার ৪৪৯টি ট্রিপে ১৩ হাজার ২৩৪ টন বর্জ্য ল্যান্ডফিলে পরিবহন করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণ, বর্জ্য ব্যবস্থায়ন এবং সড়ক পরিচ্ছন্নতা কাজে ৪৩৮টি বিভিন্ন ধরনের যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত ছিল বলে জানান তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে কোরবানি বর্জ্য অপসারণে নিজস্ব দুই হাজার ৪০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সর্বমোট নয় হাজার ৫০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিরলস পরিশ্রম করে ঢাকা শহরকে আবর্জনামুক্ত করা হয়েছে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বর্জ্য অপসারণের কাজে জড়িত ছিলেন তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান মেয়র আতিকুল।

মেয়র জানান, ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং বাসা-বাড়ি থেকে ভ্যান সার্ভিসের মাধ্যমে পিডব্লিউসিএসপি কর্মীরা পশু কোরবানির স্থান এবং মানুষের বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) এবং কন্টেইনারে জমা করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে বর্জ্যমুক্ত করেছে।

ঈদের দিন বিকাল ৫টা থেকে রাত্র ১০টার মধ্যে ডিএনসিসির ৩, ৭, ১১, ৩১ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা তাদের নিজ নিজ ওয়ার্ড বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করেন। এরপর ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডকেও বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এসটিএস এবং নির্ধারিত স্থানে কন্টেইনারে বর্জ্য জমা হওয়ার পরপরই তা ল্যান্ডফিলে পরিবহনের কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে সব অঞ্চল তাদের এলাকা কোরবানির পশু বর্জ্যশূন্য বলে অবহিত করেছে বলে জানান মেয়র আতিকুল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকাসমূহে প্রথম দিনে আনুমানিক দুই লাখ ৫০ হাজারের অধিক পশু কোরবানি হয়েছে। এরজন্য ২৭৩টি পশু জবাইর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। এসব নির্ধারিত স্থানসহ সরকারি এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন আবাসিক কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে উপযুক্ত স্থানে পশু জবাই করা হয়েছে।

মেয়র দাবি করেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ে জনগণের সাড়া উৎসাহব্যঞ্জক। নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুবিধাদি বিশেষ করে কোরবানির মাংস বাসায় পৌঁছে দেয়ার কারণে পূর্বের তুলনায় অনেকে উৎসাহিত হয় বলে দাবি করেন মেয়র।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মঞ্জুর হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল, মোবাশ্বের চৌধুরী প্রমূখ।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/কারই/জেবি)