বড় অংকের লোকসান গুনছেন চামড়ার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০১৯, ১৮:০৯ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০১৯, ১৮:১০

কাজী রফিক, ঢাকাটাইমস

এবারের কোরবানিতে চামড়া ব্যবসায় নেমে বড় অংকের লোকসান গুনছেন বলে দাবি করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, হাজার টাকা দামে বড় গরুর চামড়া কিনে তা বাধ্য হয়ে বিক্রি করতে হয়েছে মাত্র ৪০০ টাকায়। প্রতিটি চামড়ায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে বলে দাবি তাদের।  

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মাঠে নামে অনেক ফড়িয়া ব্যবসায়ী। গত বছর চামড়ার দরপতনের কারণে এই বছর এই ব্যবসায়ীর সংখ্যা এমনিতেই কম ছিল। তবে যারা গতবারের ক্ষতি পোষানোর আশা নিয়ে এবার নেমেছিলেন তারা আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা এবং যুবলীগ নেতা শামসুল আলম ঢাকাটাইমসকে জানান, ২০১৮ সালে গরুর চামড়ার অস্বাভাবিক দরপতনের পরেও সামান্য লাভে চামড়া বিক্রি করতে পেরেছিলেন। কিন্তু এ বছর পুঁজি থেকেই গুণতে হয়েছে বড় অঙ্কের লোকসান।

‘ছোট চামড়া কিনেছিলাম পাঁচ থেকে ছয়শ টাকায়। আর বড়গুলো আটশ টাকা, হাজার টাকায়। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে মাথায় হাত। কোনো পাইকার চামড়া কিনতে চায় না। পরে রাত তিনটার দিকে এভারেজ ৪০০ টাকায় চামড়া বিক্রি করেছি।'

একই অবস্থা অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও। নবোদয় হাউজিং এলাকার ব্যবসায়ী তিলক মাহমুদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'আমরা লসের ভয়ে আটশ টাকার বেশি দামে কোনো চামড়া কিনিনি। কিন্তু শেষমেষ চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে সাড়ে তিনশ থেকে চারশ টাকায়।'

আবার দরপতের শঙ্কা জেনেও যেসব মৌসুমি ব্যবসায়ী কম দামের চামড়া কিনেছেন, বিক্রি করতে গিয়ে লোকসান গুণতে হয়েছে তাদেরও। যদিও কম দামে কিনতে পারায় তাদের লোকসানের পরিমাণটা কিছুটা কম।

মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজার, ধানমন্ডির জিগাতনা, হাজারীবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের থেকে জানা গেছে, ৪৭০ টাকায় বেশি দামে কোনো ব্যবসায়ী চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। অথচ এসব চামড়া তারা কিনেছিলেন আটশ থেকে হাজার টাকায়। কেউ কেউ বড় চামড়া কিনেছিলেন হাজার থেকে বার’শ টাকায়।’

জানা গেছে, ফড়িয়াদের ক্ষেত্রে চামড়ার দাম কম বলা হলেও কিছুটা দাম পেয়েছে মাদ্রাসাগুলো। ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ট্যানারিগুলো গরুর চামড়া কিনেছে সাতশ টাকা থেকে আটশ টাকা দরে। গরুর মাথার চামড়া ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা ফুট এবং ছাগলের চামড়া ২৬ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/কারই/জেবি)