ঈদ আনন্দে বিনোদনকেন্দ্রে নগরবাসীর ঢল

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০১৯, ২১:৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
হাতিরঝিলে দর্শনার্থীদের ভিড়। ছবি: সাইফুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস

ঈদে নানা কারণে রাজধানীবাসীর বড় একটি অংশের ঢাকার বাইরে যাওয়া হয়ে ওঠে না। এই ছুটিতে তারা ঈদের আনন্দ খুঁজতে ভিড় করেন রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের পরদিন মঙ্গলবার রাজধানীর প্রতিটি বিনোদনকেন্দ্রেই ছিল উপচেপড়া ভিড়।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা ও হাতিরঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে  শিশু-বৃদ্ধসহ সব বয়সী দর্শনার্থীর ঢল নামে। দুপুরের পর এই সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। সন্ধ্যায় প্রতিটি বিনোদনকেন্দ্র ছিল মানুষে ঠাসা।

ঈদের দ্বিতীয় দিনে সকাল ৮টা থেকে চিড়িয়াখানার প্রবেশপথ খোলা হয়। বাড়ানো হয় কাউন্টার সংখ্যা। ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে। দর্শনার্থীদের ভিড়ে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে যানজট সৃষ্টি হয়। জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর নজরুল ইসলাম জানান, দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি করতে পারেন এবং ছিনতাইয়ের ঘটনা না ঘটে সেজন্য ঈদে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, পুলিশ ও চিড়িয়াখানার নিজস্ব নিরাপত্তা সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া দর্শনার্থীদের সুবিধায় কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে ১৫টি মনিটরিং সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পুরান ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, তিনি ছেলেকে নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, ঈদের সময় ভিড় বেশি থাকলেও আনন্দ আছে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে প্রত্যেকটি প্রাণীর সঙ্গে পরিচয়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা শিশুদের জন্য ভীষণ দরকার বলে মনে করেন তিনি।

ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলও সেজেছে নতুন সাজে। নতুন সাজে প্রস্তুত করা হয়েছে চক্রাকার বাস ও ওয়াটার বোট। রাজধানীর শ্যামপুরে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা ইকোপার্কে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। পার্কে বসে অনেককেই গল্পে মশগুল থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া সায়েদাবাদের ওয়ান্ডারল্যান্ড এবং ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্ক ও সোনারগাঁয়ের লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরে মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য ভিড় ছিল।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/জেবি)