ভোলায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: বন্দুকযুদ্ধে দুই আসামি নিহত

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৯, ১০:১৮ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০১৯, ১২:০৭

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভোলায় চাঁদরাতে হাতে মেহেদি লাগাতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে পুলিশের সঙ্গে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে আল আমিন (২৫) ও কামাল মিস্ত্রির ছেলে মঞ্জুর আলম (৩০)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজাপুর এলাকার নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি নিহত হন। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।

বুধবার সকালে লাশ দুটি ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গেলে ধর্ষিতার বাবা ও ভাই মিলে লাশ দুটি ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আল আমিন এবং মঞ্জুর আলমের বলে শনাক্ত করেন।

ভোলা মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শিখর বলেন, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজাপুর এলাকায় স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার আসামিদের ধরতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি নিহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই ব্যক্তি চরসামাইয়া এলাকার ‘স্কুলছাত্রী’ গণধর্ষণ মামলার আসামি আল আমিন ও মঞ্জুর আলম। তাদের মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালে রয়েছে।

ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ও সনাক্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, দুটি রাম দাঁ ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

গত রবিবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা তাদের দুই বোনের জন্য মেহেদি কিনে দিয়ে গরু বিক্রি করার টাকা আনতে ভোলা শহরে যান। বাবা শহরে চলে যাওয়ার পর দুই বোন রাত ৮টার দিকে পাশ্ববর্তী দুঃসর্ম্পকের আত্মীয় মাহফুজের স্ত্রীর কাছে হাতে মেহেদি দিয়ে সাজতে যায়। ওই সময় আগে থেকে অপেক্ষমাণ মাহফুজের ঘরের ভাড়াটিয়া ভোলা আদালতের মুহুরী আল আমিন (২৫) ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় আলমিনের স্ত্রী ঘরে ছিলেন না। এই সুযোগে আলামিন ও তার সহযোগী বখাটে যুবক মঞ্জুর আলম (৩০) স্কুলছাত্রীর হাত-পা ও মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/ ইএস