সিন্ডিকেট ‘নেই’, রপ্তানির সিদ্ধান্ত ক্ষতিকর: বিটিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৫৯

কাঁচা চামড়ার অস্বাভাবিক দর পতনের সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন চামড়া শিল্প মালিকদের সংগঠন (বিটিএ)। দাবি করেছেন, এর পেছনে যে সিন্ডিকেটের অভিযোগ উঠেছে, সেখানে তার সংশ্লেষ নেই।

কাঁচা চামড়ার অস্বাভাবিক দর পতনের পর এর পেছনে সিন্ডিকেশনের অভিযোগ উঠেছে। লাখ টাকার গরুর চামড়া ৪০০ টাকা করে কিনেও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারেনি। আড়তে গেলে ১৫০ টাকা দামও শুনতে হয়েছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।

ঢাকায় এবার প্রতি বর্গফুট গরুর কাঁচা চামড়া ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় কেনার কথা ট্যানারি ব্যবসায়ীদের। আর খাসির কাঁচা চামড়া সারাদেশে ১৮-২০ এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকা দরে কেনাবেচা হওয়ার কথা।

এই দরও অনেক কম। তার ওপর প্রকৃত বাজার দর আরো কম হওয়ায় হাজার হাজার চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলা বা রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আর দরপতন ঠেকাতে সরকার বিদেশে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ দিয়েছে।

সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছে না ট্যানারি শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)। তাদের দাবি, চামড়া রপ্তানি করা হলে দেশীয় শিল্প ধ্বংস হবে। তাই কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে তারা।

ব্যাপক সমালোচনার মুখে বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিটিএ। সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে সিন্ডিকেটের কোনো সম্পর্ক নেই।’

‘আমরা সরকার ও জনগণকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, আগামী ২০ অগাস্ট থেকে আমরা সরকার নির্ধারিত দামেই লবণ দেওয়া চামড়া কেনা শুরু করব। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের বলব, আপনারা লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করুন।’

আড়তদাররা জানিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে চামড়া কিনে ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধ করছেন না ট্যানারি মালিকরা। আর অর্থ সংকটে তারা চামড়া কিনতে পারছেন না।

এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আড়তদাররা বকেয়া টাকা না পাওয়ার কথা বলে প্রান্তিক মানুষের কাছ থেকে কম দামে চামড়া কিনেছে। বড় আড়তদাররা এবার চামড়ার বাজারটাকে ম্যানুপুলেট করেছে।’

এই ট্যানারি মালিকের দাবি, ২০১৭ সালের আগে ট্যানারি ব্যবসায়ীরা চামড়া ব্যবসায়ীদের শতভাগ বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছেন। এখন সাভারে স্থানান্তরের ফলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ট্যানারি উৎপাদনে যেতে পারেনি। তাই কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের কিছু টাকা বকেয়া হয়েছে।

নিজেদের কোনো দায় নিতে অস্বীকার করা বিটিএ সভাপতির কাছে প্রশ্ন ছিল, চামড়া নিয়ে এই পরিস্থিতি কেন হলো। সরাসরি জবাব না দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘চামড়া সংগ্রহ থেকে শুরু করে ট্যানারি মালিকদের কাছে পৌঁছে দিতে সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। এটা না থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে।’

কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে চামড়া শিল্প নগরীতে সাত হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে বলেও সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।

শাহীন বলেন, ‘সাভারের আধুনিক চামড়া শিল্প নগরী তখন কাঁচামালের অভাবে অকেজো হয়ে পড়বে। এই শিল্পের সাথে জড়িত বিস্তর জনগোষ্ঠী বেকার হয়ে যাবে। ফলে এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বিশাল জনগোষ্ঠী বেকার হয়ে পড়বে। এতে করে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।’

বিটিএর সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইলিয়াছুর রহমান বাবু, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ও ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/জেআর/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

বয়কটের ডাকে অর্ধেকে নেমেছে তরমুজের দাম, তবুও ক্রেতা নেই

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :