দাম কম হওয়ায় মির্জাপুরে অনেকে চামড়া ফেলে দিয়েছেন

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৯, ২৩:২৬

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কোরবানির চামড়ার ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কোরবানিদাতারা। কম দামের কারণে অনেকে পশুর চামড়া ফেলে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে স্থানীয় হতদরিদ্র ও মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র মতে, কোরবানির জন্য মির্জাপুরে প্রায় পাঁচ হাজার ৫০০ গরু ও আট হাজার ছাগলের চাহিদা ছিল। চাহিদার কমবেশি পশু কোরবানিও হয়েছে। কিন্তু চামড়ার দাম পাননি কোরবানিদাতারা।

বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, তারা তিনজন মিলে গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে ৩৪টি চামড়া কিনেন। অন্য বছর এ দামে ছাগলের চামড়া কেনা হতো।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন জানান, তিনি এ বছর ১ লাখ ১ হাজার টাকা মূল্যে গরু কিনে কোরবানি দিয়েছিলেন। সেই গরুর চামড়ার দাম পেয়েছেন ৪০০ টাকা। গত বছর ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের গরুর চামড়ার দাম পেয়েছিলেন ৮০০ টাকা। এর আগের বছর ৭৯ হাজার টাকা মূল্যের গরুর চামড়ার দাম পেয়েছিলেন ১ হাজার ৪০০ টাকা। চামড়ার বাজারে ক্রমেই ধস নামছে। এতে হতদরিদ্র মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’

মির্জাপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম জানান, কম দামের কারণে তিনি কোরবানির ছাগলের চামড়া ফেলে দিয়েছেন। আগে চামড়া বিক্রিলব্ধ অর্থ হতদরিদ্রদের মধ্যে বিলি করা হতো। কিন্তু চামড়ার ন্যায্যমূল্য না থাকায় তারা তাদের হক থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

মির্জাপুর ইসলামী যুব কল্যাণ দারুল উলুম মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফরিদ হোসাইন জানান, আমাদের দেশে বেসরকারিভাবে পরিচালিত মাদ্রাসাগুলো জাকাত, ফেতরা, কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রিলব্ধ অর্থসহ নানা ধরনের মৌসুমি অনুদানে পরিচালিত হয়। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে চামড়ার বাজার মূল্য এভাবে কমে যাওয়ায় ওই সব মাদ্রাসা পরিচালনা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঈনুল হক বলেন, সারাদেশের মত মির্জাপুরেও চামড়ার উপর প্রভাব পড়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/এলএ)