ছুটি নিবেন না নতুন কোচ

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৯, ১৭:২৯

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

আপাতত দুই বছরের জন্য জাতীয় দলের কোচ হয়েছেন রাসেল ডমিঙ্গো। টাইগারদের কোচ হতে পেরে জারপরনাই খুশি এ দক্ষিণ আফ্রিকান। সাকিবদের সঙ্গে কাজ করতে নাকি মুখিয়ে আছেন তিনি। এমনিকি ছুটিও কাটাবেন না বলে বিসিবিকে জানিয়েছেন ডমিঙ্গো।

শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে  এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে ডমিঙ্গোর নাম ঘোষণা করে বলেন,‘ শেষ পর্যন্ত তিন জন ছিল আমাদের টপ লিস্টে। কবে থেকে পাওয়া যাবে আর কতটা সময় দিতে পারবে সেটা বিবেচনায় নেওয়ার পর দুই জন ছিলেন আমাদের তালিকায়। সেখান থেকে রাসেল ডমিঙ্গোকে আমাদের প্রধান কোচ হিসেবে চূড়ান্ত করেছি।’

‘দুই বছরের জন্য চুক্তি হয়েছে। ডমিঙ্গো বলেছে, ‘আমার কোনো ছুটি দরকার নাই। আমার কোনো পিছু টান নাই। আমি এখানে থেকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই।’ এগুলোই হচ্ছে মূল জায়গা, যেখানটায় আমরা মনে করেছি ও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে।’

ডমিঙ্গোর কাজের পরিধি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি। পাপন বলেন,‘২০২৩ বিশ্বকাপে আমাদের বেশ কিছু নতুন খেলোয়াড়ের দলে ঢোকার সম্ভাবনা আছে। কয়েকটা জায়গায় হয়তো রিপ্লেসমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে। সেদিক থেকে যদি চিন্তা করেন, তাহলে আপনাকে নতুন ছেলেদের একটা পরিকল্পিত উপায়ে আমাদের সুযোগ দিতে হবে। এই ধরনের কাজ করার জন্য ডমিঙ্গো উপযুক্ত আর সে এটাই করতে চাচ্ছে।’

‘সে জাতীয় দলের পাশাপাশি ‘এ’ দল, হাই পারফরম্যান্স দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে চাচ্ছে। আর এই কাজই সে করে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সে চার বছরের লম্বা একটা পরিকল্পনা আমাদের দিয়েছে।’

আপাতত দুই বছরের জন্য চুক্তি হলেও সব মিলে গেলে লম্বা সময়ের জন্য রাসেলকে রেখে দেওয়ার ভাবনার কথা জানান নাজমুল হাসান।

‘আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি দরকার ভালো একজন কোচ, যে নাকি এখানে থেকে, ছেলেদের সঙ্গে থেকে একটা পরিকল্পনা নিয়ে দুই-চার বছর কাজ করবে। ডমিঙ্গোর সঙ্গে সেভাবে ইন্টার‌অ্যাকশন হয়নি, একটা সাক্ষাৎকার হয়েছে। সে এসে কাজ করুক, আমাদের দেখুক, আমরা ওকে দেখি। যদি মিলে যায় তাহলে লম্বা সময়ই থাকতে পারে।’

দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে কেন বাংলাদেশে কোচ হয়ে আসতে চান ডমিঙ্গো সেই প্রশ্ন ৪৪ বছর বয়সী এই কোচকে করেছিল বিসিবি।

‘উত্তরে ও বলেছিল, ‘বাংলাদেশে এসে সে যত বড় দেশই হোক না কেন তার জন্য জেতা কঠিন। সামনে বিশ্বকাপ হবে ভারতে। বাংলাদেশেরও শিরোপার অন্যতম দাবিদার হওয়া উচিত। ভারতের পর উপমহাদেশে বাংলাদেশই সবচেয়ে বড় শক্তি। এই ধরনের চিন্তা তার। আমরাও বিশ্বাস করি, আগামী (ওয়ানডে) বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অন্যতম দাবিদার হওয়া উচিত।’  (ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/ডিএইচ)