‘ভুল চিকিৎসায়’ প্রসূতির মৃত্যু

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৯, ২২:১৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ‘ভুল চিকিৎসায়’ রত্মা বেগম নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন তার স্বজনরা।

শুক্রবার বিকালে উপজেলা সদরের ‘তিতাস ইউনিটি হাসপাতাল’ নামে এক বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রত্মা ওই উপজেলার পাড়াতলি গ্রামের জামির মিয়ার স্ত্রী।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, সকালে প্রসব বেদনা ওঠলে রত্মাকে তার স্বামী জামির তিতাস ইউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রত্মাকে ভর্তি করানোর জন্য বলেন হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী এমরানুল হক ওরফে আশেক এমরান। পরবর্তীতে রত্মার শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার গর্ভে দুই সন্তান রয়েছে বলে জানানো হয়। জাহিদ নামে এক চিকিৎসক হাসপাতালে এসে রত্মার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করবেন বলে জানান এমরান। তবে বিকাল সাড়ে তিনটা নাগাদ ডা. জাহিদ হাসপাতালে না আসায় জানতে চাইলে এমরান জানান কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসবেন। এরপর বিকাল ৪টার দিকে এমরান ও হাসপাতালের নার্স নাছরিন আক্তার মিলে রত্মাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যান। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ডা. জাহিদ অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে বের হওয়ার পর তার কাছে রত্মার শারীরিক অবস্থার খবর জানতে চাইলে রত্মা সুস্থ আছেন বলে তিনি জানান।

এরপর এমরান অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে বের হয়ে জামিরকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় নিয়ে গিয়ে বলেন রত্মাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীতে এমরান, ডা. জাহিদ ও নার্স নাসরিন রত্মাকে মৃত অবস্থায় অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে বের করে মরদেহ গুম করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেন রত্মার স্বজনরা।

জামির মিয়া জানান, ভুল চিকিৎসা করে আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে তিতাস ইউনিটি হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী এমরানুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। পলাতক রয়েছেন।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে হাসপাতালের দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কার জানা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এলএ)