অর্থাভাবে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন ভারতীয় পরিবারের

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৯, ০৮:৫৭ | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৯, ০৯:০৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

তীব্র অর্থকষ্ট এবং রোগের কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের একটি পরিবার। এমন পরিস্থিতি সহ্য করতে না পেরে প্রশাসনের কাছে সেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেছেন তিন সদস্যের ওই পরিবারটি।

অনাহার আর পথ্যহীন জীবন ক্রমশ মন্থর হয়ে আসছে।জীবনের এই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছেন সঙ্গীত শিল্পী গার্গী ব্যানার্জী। তাই অসুস্থতার নাগপাশ থেকে বেরিয়ে বাঁচার পথ দেখান, নয়তো স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন মঞ্জুর করুন। সরকারের কাছে এমন আবেদনই জানিয়েছেন গার্গী ও তার পরিবারের বাকি দুই সদস্য।

উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসতের বাণী নিকেতন রোডের এক চিলতে ফ্ল্যাটে নিজের বাবা ও মাকে নিয়ে থাকেন গার্গী দেবী। দারিদ্র এমনভাবেই গ্রাস করেছে যে পরিবারটি স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক চৈতালী চক্রবর্তী এবং বারাসত পৌরসভার পৌর প্রধান সহ প্রসাশনিক আধিকারিকদের কাছে।

এক সময়ের সম্ভ্রান্ত পরিবার হিসেবেই পরিচিতি ছিল গার্গীর পরিবারের। বছর পঞ্চাশের গার্গীর সঙ্গে এখন থাকেন রুগ্ন বাবা-মা। বাবা কমল ব্যানার্জির বয়স ৮২ বছর ও মা গীতা ব্যানার্জির বয়স ৭৬ বছর। পথ্য তো দূর গত কয়েক বছর ধরে দুমুঠো ভাত জোটে না তিনজনের। রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতক ও সংগীতে পিএইচডি গার্গী দেবী।

একটি স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা পাশে দাঁড়ালেও আত্মসম্মানের স্বার্থে আর হাত পাততে রাজি নন ব্যানার্জী পরিবার। বারাসত পৌরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখার্জি খোদ আশ্বাস দেওয়ার পরেও কোন সুরাহা না হওয়ায় শেষমেশ অন্তিম এই পদক্ষেপেই অবিচল থাকতে চান ব্যানার্জী পরিবার।

ঢাকা টাইমস/১৮আগস্ট/একে