স্মিথকে আঘাতের পর আর্চারের হাসিতে ক্ষোভের ঝড়

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৫৫

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

অভিষেক টেস্টে ক্রীড়াসুলভ আচরণ না করে সমালোচিত হলেন ইংল্যান্ডের পেসার জোফরা আর্চার। অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন তার একটি বাউন্সার ঘাড়ে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ। অন্য ফিল্ডাররা অজি ব্যাটসম্যানের কাছে ছুটে গেলেও মুচকি হাসি হেসে বোলিংয়ের জায়গায় ফিরে যান আর্চার। তার এমন আচরণে টুইটারে ক্ষোভের ঝড় উঠেছে।

স্মিথের ঘাড়ে আঘাত করার আগে আরও দুটি বাউন্সার তার কপালে ও গ্লাভসে লাগে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ককে থামাতে শর্ট বলে জর্জরিত করেন আর্চার। সেটা উল্লেখ করে এড নামে একজন টুইট করেছেন, ‘এক ওভার ৩ বলের মধ্যে ৬টি শর্ট বল, এর শেষ কোথায় দেখতে চেয়েছিলেন আর্চার? আবার মানসিক ভারসাম্যহীনের মতো হাসছিলে।’

টেস্ট ক্রিকেট অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেও এমন হাসি মেনে নিতে পারেননি নেরোলি মিডোস, ‘জানি এটা টেস্ট ক্রিকেট এবং নির্দয়। কিন্তু এই আঘাতটা বেশ বাজে ছিল। বেশ জোরে মাথায় লাগলো। আর্চারের এই হাসি আমাকে স্বস্তি দিচ্ছে না, এমনটা কি আমার একার হচ্ছে?’

২০১৩-১৪ মৌসুমে মিচেল জনসনের বাউন্সের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন জেমস মোটার্সহেড, কিন্তু আর্চারের এই আচরণ অগ্রহণযোগ্য তার কাছে, ‘আর্চারের এমন আগ্রাসী বোলিং দেখে কিছু মনে করছি না, ১৩-১৪ অ্যাশেজের জনসনকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু মানতেই হবে যখন কাউকে আঘাত করবেন: তখন প্রথমে আপনাকে কাছে গিয়ে তার অবস্থা জানতে হবে, দ্বিতীয় ব্যাপার হলো এই সময় না হাসার মতো চেতনা থাকতে হবে।’

লিয়াম পিকারিং টুইট করেছে, ‘বাহাদুরি আর বাজে শর্ট বলেও আর্চার আউট করতে পারছিল না স্মিথকে, বাম্পার দিয়ে আঘাত করলো। বেশ ভালো করেছ। এরপর তুমি তোমার পেছনে ঘুরে স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে দেখলে তাকে আউট করতে পারোনি, তখন স্কুলের বাচ্চাদের মতো হাসতে হাসতে বোলিংয়ের জায়গায় ফিরে গেলে।’

২০১৪ সালে ফিল হিউজের মৃত্যুর কথাই মনে পড়লো নাথানিয়েল বেনের, ‘আর্চারের আঘাত গিয়ে লাগলো স্টিভ স্মিথের মাথায় এবং সে পিচে পড়ে গেলো। সম্ভবত এই বাজে আঘাত অস্ট্রেলিয়ানদের ফিল হিউজের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল। অথচ এটাই কিনা হাসালো!’ আর্চার খেলোয়াড়সুলভ আচরণ করেননি মনে করেন মোহাম্মদ হামজা ইনাম, ‘যখন স্মিথ পড়ে গেলো, তখন তার অবস্থা যাচাই না করে আর্চার হাসলো। এটা স্পোর্টসম্যানশিপের জন্য বড় লজ্জার বিষয়।’(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/ডিএইচ)