নিরামিষে শুক্তো
কোরবানির ঈদে খাবারে থাকে আমিষের আধিক্য। মাংস খেতে খেতে একটু ভিন্ন স্বাদের নিরামিষ খাবার পেলে মন্দ হয় না। বিভিন্ন সবজি দিয়ে রান্না হয় নিরামিষ শুক্তো। এটি শরীরের জন্য সহজপাচ্য, সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। শুক্তোর রেসিপি জানিয়েছেন রন্ধনশিল্পী দিলরুবা বেগম ফ্যান্সি
উপকরণ
করলা: ৫০ গ্রাম
ছোট বেগুন: ২টি
কাঁচকলা: ১টি
মাঝারি আলু: ২টি
শজিনা ডাঁটা: ১টি
শিম: ১০০ গ্রাম
বড়ি: ১ কাপ
কাঁচামরিচ ফালি: ৪টি
আদা আর সরিষার পেস্ট: ১ চা চামচ
লবণ: পরিমাণমতো
হলুদ গুঁড়া: আধা চা চামচ
সরিষার তেল: প্রয়োজনমতো
তেজপাতা: ১টি
গোটা শুকনা মরিচ: ২টি
পাঁচফোড়ন: আধা চা চামচ
ভাজা মশলা: ১ চা চামচ (গোটা জিরা আধা চামচ)
এলাচ: ২টি
লবঙ্গ: ৪টি
দারুচিনি: ১ টুকরা (একসঙ্গে
শুকনা কড়াইয়ে ভেজে গুঁড়া করা)প্রণালি সব সবজি মাঝারি আকারে লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। হাঁড়িতে তেল গরম করে প্রথমে বড়ি ভাজুন। বাদামি রং হলে নামিয়ে আরেকটু তেল দিয়ে শিম আর করলা আলাদা করে ভেজে তুলে রাখুন। হাঁড়িতে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে তেজপাতা, গোটা শুকনা মরিচ আর পাঁচফোড়ন দিন। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে ফোড়ন থেকে গন্ধ এলে আলু দিন। আলু সামান্য ভাজা হলে কাঁচকলা দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। আলু আর কাঁচকলা ভাজা হলে কাঁচামরিচ, বেগুন আর ডাঁটা দিয়ে আরেকটু ভাজুন। বাকি সব সবজি দিয়ে আদা-সরিষার পেস্ট, হলুদ গুঁড়া আর অল্প পানি দিন। অল্প আঁচে ভালো করে কষান, যাতে মশলার কাঁচা গন্ধ চলে যায়। মশলা ভাজা হলে একটু বেশি করে পানি দিন, যেন শুক্তোর সব সবজি প্রায় ডুবে যায়। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা সব সবজি, বড়ি আর পরিমাণমতো লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে সব সবজি নাড়াচাড়া করে আবার ঢাকা দিয়ে দিতে হবে আরো ৫ মিনিট। এবার ঢাকনা খুলে ২টি আলু ভেঙে দিন, যেন গ্রেভি গাঢ় হয়। নামানোর আগে ঘি ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে নিন। তারপর ওপরে ছড়িয়ে দিতে হবে ভাজা মশলা। এটি সবজির সঙ্গে মেশানোর দরকার নেই। শুক্তো পরিবেশনের সময় সবজির সঙ্গে ভাজা মশলা ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন।
(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/এসএস/এজেড)