স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীসহ দুইজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৪২

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঝিনাইদহের মহেশপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এমজি আযম এ রায় দেন। রায়ে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-মহেশপুর উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে উজ্জল হোসেন ও একই গ্রামের হুজুর আলীর ছেলে শুকুর আলী।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল খালেক জানান, ১৯৯৯ সালের ৩১ মে মহেশপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে মনোয়ারা খাতুনের সঙ্গে কানাইডাঙ্গা গ্রামের উজ্জল হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করতো। তাছাড়াও তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়। এ ঘটনায় মনোয়ারা খাতুন স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন।
২০০১ সালের ২৯ জুন উজ্জল তার বাড়িতে গিয়ে মনোয়ারা খাতুনকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর মনোয়ারা খাতুনের বাবা শহিদুল ইসলাম উজ্জলের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের খোঁজ করেন। কিন্তু উজ্জল ও তার বাড়ির লোকজন বলে, সে বাবার বাড়িতে চলে গেছে। এরপর থেকে শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন স্থানে মেয়ের খোঁজ করতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই বছরের ১ জুলাই চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বলাতলা খাল থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে থানায় গিয়ে মেয়ের পোশাক ও ছবি দেখে মনোয়ারার লাশ বলে শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় ৬ জুলাই নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় আটজনের নামে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘবিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত স্বামী উজ্জল হোসেন ও প্রতিবেশী শুকুর আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। মামলার অন্যতম আসামি আব্দুর রাজ্জাক বিচার চলাকালীন মারা গেছে। অন্য দুইজন আসামি আজিজুল হক ও মেঘা মন্ডলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন বিচারক।

ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/প্রতিনিধি/এমআর