এএসআইয়ের ছিনতাই মামলার রায় ফের পেছাল

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৩১

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পুলিশের এএসআইসহ দুজনের বিরুদ্ধে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের একটি মামলায় রায় আবার পিছিয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছে আদালত।

রায় প্রস্তুত না হওয়ায় সোমবার ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী নতুন এই তারিখ ঠিক করেন।

আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বলেন, রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আবার পেছানো হয়েছে। এর আগে গত ৩ জুলাইও রায় পেছানো হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের এএসআই আলমগীর হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) এবং মাছুম বিল্লাহ। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা থানার কীর্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে মাসুম বিল্লাহর বাড়ি ঢাকার দোহার থানার উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে।

নড়াইলের নড়াগাতি থানার খাসিয়াল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো. ইলিয়াস গত ৫ এপ্রিল ছয়জনের বিরুদ্ধে এই ছিনতাইয়ের মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বলা হয়, বাদী লতিফ ইম্পেরিয়াল মার্কেটস্থ এইচএস মানি এক্সচেঞ্জের মালিক। ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল বেলা ৩টার দিকে তিনি রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ ঢাকা মেট্টো-গ-১৯-০৯৭০ নম্বরের সাদা একটি প্রাইভেটকার তার সামনে থামে। গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক নেমে ডিবি পরিচয়ে দিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। এক পর্যায়ে কালো কাপড় দিয়ে তার চোখ বাঁধে। এরপর তারা তার কাছে থাকা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮০০ ইউএস ডলার যার বর্তমান বাংলাদেশের বাজার মূল্য ১৫ লাখ চার হাজার টাকা তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় ইলিয়াসের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে আসামিরা তাদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উপস্থিত জনতা গাড়ি আটকে মাসুম বিল্লাহকে আটক করে এবং অপর চারজন পালিয়ে যায়।

পরে পুলিশ মাসুম বিল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, পালিয়ে যাওয়া আসামি এএসআই আলমগীর হোসেন, জনৈক হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমন বলে জানায়। পুলিশ মাসুম বিল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে এএসআই আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেন। মামলায় মাসুম বিল্লাহ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. নূরে আলম সিদ্দিক আনোয়ার হোসেন এবং মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

ওই বছরের ১৯ জুন ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর করে আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/আরজেড/জেবি)