আগৈলঝাড়ায় পচা পানিতে জলাবদ্ধ তিন ইউনিয়নের বাসিন্দা

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৯, ২০:১১

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উন্নয়ন কাজের জন্য ঠিকাদারের দেয়া বাঁধ কাজের পরে ছয় মাসেও অপসারণ না করায় পচা পানির জলাবদ্ধতায় পবিবেশ দূষণের কবলে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বাসিন্দা।

উপজেলার উত্তরাঞ্চলের ইউনিয়ন রাজিহার, বাকালের অধিকাংশ এলাকা ও পূর্বাঞ্চলের গৈলা ইউনিয়নের সমগ্র খাল-বিল এখন মাছ শূন্য। বাঁধের কারণে পানি চলাচল করতে না পারায় দূষিত পানিতে চর্ম রোগের আশঙ্কায় চাষিরাও তাদের জমি পরিষ্কারের কাজ করতে পারছেন না।

রাজিহার ইউনিয়নের রাজিহার গ্রামের মৎস্যজীবী হীরা লাল বিশ্বাস জানান, বর্ষা মৌসুমে বর্শি দিয়ে এবং জাল পেতে মাছ ধরে তাদের পূর্বপুরুষের মতো জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। তবে এ বছর বর্ষাকালে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তার মতো মৎস্যজীবীরা খাল-বিল থেকে কোন মাছ ধরতে পারছে না।
মাছ ধরতে না পারার কারণ হিসেবে হীরা বলেন, বাঁধের কারণে খালের পানি পচে কালো হয়ে দুষিত হয়ে গেছে। তাছাড়া পানি চলাচল বন্ধ থাকায় পচা পানির ছড়িয়ে পরেছে বিল ও সমগ্র জমিতে। এ কারণে পচা পানিতে কোন মাছ পাচ্ছে না জেলেসহ মৎস্যজীবীরা।

চাষিরা বলেন, জানুয়ারি মাসে সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণের জন্য খালগুলোর মুখে বাঁধ দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন ঠিকাদার এম খান গ্রুপের সত্ত্বাধিকারী মাহফুজ খানের সাইট ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন। ওই সময় ভরা সেচ মৌসুমে চাষিরা খালে বাঁধ দেয়ায় বিরোধিতা করে আসলেও উন্নয়ন কাজের স্বার্থে তা মেনে নেয়। উন্নয়ন কাজ শেষ হলেও গত ছয় মাসেও সেই বাঁধ এখনও অপসারণ করেননি ঠিকাদার। ঠিকাদারের দেয়া বাঁধ এখন শুধু কৃষকই নয়, সকল জনগণের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বাঁধের কারণে খাল-বিলে পচা পানিতে জনগণের অসুবিধার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ঠিকাদারের লোকজন তাকে জানিয়েছেন- আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে তারা বাঁধ অপসারণ করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করবেন।’  

এ ব্যাপারে মাহফুজ খানের সাইট ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বাঁধ দেয়ার প্রয়োজনীয় কাজ তাদের শেষে হয়েছে। বর্ষার জন্য তারা এতদিন বাঁধ অপসারণ করতে পারেননি।’

নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে তার বাঁধ অপসাণের বিষয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তারা রাজিহার ও গৈলা খালের মুখের বাঁধ অপসারণ করবেন।’

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/এলএ)