গৌরীপুরে ট্রেনের টিকিট ‘মুদি দোকানে’
ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ‘মুদি দোকানে’। স্টেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে টিকিট চলে যাচ্ছে কালোবাজারিদের হাতে। আর সেই সুযোগে কালোবাজারিরা যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিটের মূল্যের চেয়ে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি করছেন। যাত্রীরাও ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনই অভিযোগ গৌরীপুর জংশনের যাত্রীদের।
সোমবার গৌরীপুর জংশনে দাঁড়িয়ে থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাবরিয়াদ কবির জানান, তিনি ঢাকায় যাবেন। কিন্তু কাউন্টারে টিকিট নেই। বাইরের এক মুদি দোকান থেকে ১২০ টাকা মূল্যের একটি টিকিট ক্রয় করেছেন ৩০০ টাকায়।
অপরদিকে গার্মেন্টকর্মী নুরে আক্তার জানান, কালোবাজারিরা তিনটি টিকেটের মূল্য নিয়েছে ১২৫০ টাকা। যা টিকিটের মূল্যের তিনগুণ বেশি। এমন অভিযোগ আরো অসংখ্য যাত্রীর।
কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার আব্দুর রশিদ জানান, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ। ১০ দিন আগেই টিকেট ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গৌরীপুরে যাত্রীদের তুলনা টিকেট অত্যন্ত কম।
সোমবার প্রত্যেকটি ট্রেনে ছিল উপচেপড়া যাত্রীদের ভিড়। ট্রেনের ভিতরে ঠাঁই না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা ছাদে ভ্রমণে বাধ্য হন।
ফরহাদ খান নামে এক যাত্রীর অভিযোগ, যাত্রী তুলনায় টিকিট অপ্রতুল থাকায় ১০ দিন আগেই এসব টিকিট চলে গেছে কালোবাজারিদের দখলে। আর এসব টিকিট মুদি দোকানসহ প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি টিকিট তিন/চারগুণ দামে বিক্রি হলেও দেখার কেউ নেই।
এ ব্যাপারে গৌরিপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আবু তাহের টিকিট কালোবাজারিদের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, ‘কালোবাজারিরা তাদের পরিচিত লোক অথবা আত্মীয়-স্বজন দিয়ে টিকিট ক্রয় করে নিয়ে গেলে সেখানে আমাদের কি করার আছে।’
(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)