রুয়েটের শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৫২

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

স্ত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষক রাশিদুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সোমবার রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার মোল্লাপাড়া এলাকার মোস্তাক আহমেদের ছেলে বকুল আহমেদ (১৯), রাজপাড়া থানার আলীর মোড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে শাহানুর হোসেন খোকন (১৯) এবং বোয়ালিয়া থানার কাদিরগঞ্জ এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে রিপন মন্ডল (১৮)।

নগর ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার আবু আহাম্মদ আল মামুন জানান, ঘটনার পর থেকেই তারা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিলেন। তাই আসামিদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এরপরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মামলার বাদীও এদের শনাক্ত করে গেছেন।

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, ডিবি পুলিশ তিন আসামিকে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তারা মঙ্গলবার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাবেন।

প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট ঈদের কেনাকাটা করে বাসায় ফিরছিলেন রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম। নগরীর সাহেববাজার মনিচত্বর এলাকায় আসার পর একদল বখাটে তার স্ত্রীকে ধাক্কা দেন। এতে বখাটেদের সঙ্গে তার তর্কাতর্কি হয়।

পরে রাশিদুল স্ত্রীকে নিয়ে অটোরিকশায় উঠেন। এ সময় বখাটেরাও আরেকটি অটোরিকশায় উঠে তার স্ত্রীকে কটূক্তি করতে থাকেন। শিক্ষক রাশিদুল প্রতিবাদ করলে বখাটেরা অটোরিকশা থেকে নেমে গিয়ে শিক্ষককে মারধর শুরু করে। ওই শিক্ষক তখন স্ত্রীর পাশে অটোরিকশায় বসে ছিলেন। মারধরের সময় সহায়তা চাইলেও আশপাশে থাকা কেউ তাকে বাঁচাতে আসেননি।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন শিক্ষক। এটি ভাইরাল হয়ে যায়। আর ঘটনার ছয় দিন পর ১৬ আগস্ট ওই শিক্ষকের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আটজনকে আসামি করে বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/আরআর/এমআর