ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতিশীল: মেয়র খোকন

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মারাত্মক আকার ধারণ করা ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে মনে করছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন এবং ডেঙ্গুর লার্ভা ধ্বংসের লক্ষ্যে আয়োজিত অভিযান উদ্বোধন করেন মেয়র খোকন।

মেয়র বলেন, 'সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহকে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মশার উৎসস্থল ধ্বংসে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম চালানোর ফলে এডিস মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে এ অবস্থা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।'

কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন আসন্ন সেপ্টেম্বর মাস এডিস মশার জন্য প্রজনন উপযোগী সময়। সেই মাসের প্রথম সপ্তাহকে লক্ষ্যমাত্রা ধরে এডিস মশা দমনে কাজ করার ঘোষণা দেন সাঈদ খোকন।

খোকন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি সব সংস্থা ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একযোগে কাজ করে চলেছে। আশা করা যায় লক্ষ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।'

মেয়র বলেন, 'ইতিমধ্যে ডিএসসিসি’র পক্ষ থেকে ৫৮ হাজার ৭৪৮ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা নিধনে অভিযান চালানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সহস্রাধিক বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ির মালিকদের এ বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।'

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজের আজকের এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি একটি প্রতীকী কর্মসূচি। আমি মনে করি এই প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে সব নগরবাসী পরিচ্ছন্নতা কাজে সম্পৃক্ত হবেন।'

এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্কাউটস সদস্যরা এক লাখ ১১ হাজার বাসাবাড়ি ইন্সপেকশন চালিয়ে যেসব বাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেছে তা ধ্বংস করাসহ সচেতনমূলক লিফলেট বিতরণ করেছে বলেও অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক এ এম নাসির উদ্দিনসহ নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ এবং স্কাউটস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা।

(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/কারই/জেবি)