একটু সহযোগিতা পারে ফুটফুটে নাইমকে বাঁচাতে

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৯, ২০:০৫

কাজী রফিক, ঢাকাটাইমস

নাইম খান। বয়স সাড়ে সাত বছর। অন্য দশটি শিশুর মতো ছোটবেলা থেকেই নাইম ছিল দুরন্ত। কিন্তু ফুটফুটে সেই নাইমের শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণব্যাধি ‘ব্লাড ক্যানসার’। একসময়ের দুরন্ত নাইম এখন অনেকটাই নিস্তেজ।

এবার নাইমকে স্কুলে ভর্তি করতে চেয়েছিলেন তারা বাবা-মা। কিন্তু এর আগেই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে নাইম। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, নাইম ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত।

মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে নাইমের বাবা-মায়ের। বকুল মিয়া ও পারভিন আক্তারের দুই সন্তানের মধ্যে নাইম বড়।

বাবা বকুল মিয়া একজন দিনমজুর। মহল্লায় ঘুরে ঘুরে কাগজ আর ভাঙারি জিনিসপত্র কিনে তা বিক্রি করেন পুরান ঢাকার পাইকারি দোকানে। দিন শেষে আয় হয় দুই থেকে ৩০০ টাকা। আর মাস শেষে আয় হয় প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

দুই ছেলে আর স্বামী-স্ত্রীর খাবার জোটাতেই যেখানে হিমশিম খেতে হয় দূরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা করবেন কীভাবে! ঢাকা টাইমসকে বকুল মিয়া জানান, ছেলে অসুস্থ হওয়ার পরে নিয়মিত কাজেও যেতে পারছেন না তিনি। বলেন, ‘ডাক্তার বলছে আরও চার বছর চিকিৎসা করা লাগবে। কিন্তু এতো টাকা আমার কাছে নাই।‘

হবিগঞ্জের মাধবপুরের শিমুলঘর গ্রামের বাসিন্দা বকুল মিয়া থাকেন রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায়। বাসা ভাড়া, খাওয়া, যাতায়াত, অসুস্থ ছেলের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ জোগাতে এরই মধ্যে প্রায় তিন লাখ টাকা ঋণ করেছেন। শেষ সম্বল বলতে গ্রামে মাত্র এক শতক জমি আছে। এবার চলেছেন সেটি বিক্রি করতে। কিন্তু তারপরেও ছেলের চিকিৎসার সব খরচ জোগার হবে না।

বকুল বলেন, ‘জমিটুক বিক্রি করলে যা পামু, তারপরেও আরও টাকা লাগবে। কিন্তু কই পাব।’

তিনি পরিচিতজনদের কাছে কিছু সাহায্য পেয়েছেন। কিন্তু তা সন্তানের চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট না। বকুল বলেন, ‘আমারে চেনে বিধায় কম বেশি অনেকে হেল্প করছে। ডাক্তার বলছে, আরও চার বচ্ছর চিকিৎসা করান লাগবে।‘

এই ব্যয়ভার বহনের সক্ষমতা তার নেই। তাই ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন এই বাবা। কান্না ভেজা চোখে বকুল বলেন, ‘আমার ছেলেটারে বাঁচান। আমারে সাহায্য করেন।’

(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/কারই