ছাত্রদলের দুই শীর্ষ পদে ৭৬ প্রার্থী
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিতে ১০৮ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও ৭৬ জন প্রার্থী জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন জমা দেয়ার নির্ধারিত দিন মঙ্গলবার ৩৩ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী জমা দেননি।
সভাপতি পদে লড়তে ২৭ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে দুই নারীসহ ৪৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাইয়ে অনেকেই বাদ পড়তে পারেন।
বিকাল ৪টা পর্যন্ত নয়াপল্টনের বিএনপি কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা নেওয়া হয়। এর আগে, গত ১৭-১৮ আগস্ট ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিতে ১০৮ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
সদ্য ভেঙে দেওয়া ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার বাংলা জানান, ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিতে ৭৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে সভাপতি পদে ২৭ জন আর সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৮ জন রয়েছেন।
সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ সম্পাদক মামুন খান। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। আশা করি তারা আমার ওপর আস্থা রাখবেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়পত্র জমা দেন বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাদিয়া পাঠান পাপন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। চেষ্টা করেছি দলের ক্রান্তিকালেও রাজপথে থাকার। নির্যাতিত হয়েছি, গ্রেপ্তার হয়েছি। নিজের সাধ্যমত মাঠের নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি। যেহেতু এবার তৃণমূলের ভোটে নেতৃত্ব বাছাই হবে আশা করি তারা আমাকে ভোট দেবেন। কারণ আমি কখনো রাজপথের সঙ্গে বেইমানি করিনি।’
সাধারণ সম্পাদক পদের আরেক প্রার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তানজিল হাসান ঢাকা টাইমসকে বলেন, সাংগঠনিকভাবে সক্ষম প্রার্থীদের কাউন্সিলররা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। আশা করি কাউন্সিলরা আমাকে মূল্যায়ন করবেন। আগামী দিনে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারবিরোধী আন্দোলন বেগবান করতে সহায়তা করবেন।’
ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি জানায়, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের মনোনয়ন ফরম বাছাই চলবে ২২ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩১ আগস্ট। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত।
১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটে অংশ নেবেন সংগঠনটির সারাদেশের ১১৭টি ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর।
ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষে নেতাকর্মীদের অবস্থান ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য সংগঠনের সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি এবং শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীদের অবিবাহিত হতে হবে। ছাত্রদলের প্রাথমিক সদস্যপদ থাকতে হবে। বাংলাদেশের যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হতে হবে এবং কেবল ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী সময়ে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই প্রার্থী হতে পারবেন। প্রার্থীদের ন্যূনতম স্নাতক পাসের সনদের সত্যায়িত অনুলিপিও জমা দিতে হবে।
ছাত্রদলের নতুন কমিটি নির্বাচনে আপিল কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ছাত্রদলের নতুন সম্ভাবনাময় দিন সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শে নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনের আগামী নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।’
(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/বিইউ/জেবি)