হত্যার আগে ধর্ষণের শিকার হন মাদ্রাসাছাত্রী আসমা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০১৯, ২০:৫৮

রাজধানীর কমলাপুরে ট্রেনের টয়লেট থেকে উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসাছাত্রী আসমা আক্তারকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক।

মঙ্গলবার দুপুরে তার ময়নাতদন্ত শেষে এই কথা জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস।

চিকিৎসক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তার শরীরে কামড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার ভিসেরা ও রক্ত পরীক্ষার জন্য মহাখালী রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।’

এ ঘটনায় আসমার চাচা রাজু আহমেদ বাদী হয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় তার প্রতিবেদশী যুবক বাঁধনসহ অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলটির তদন্ত করছেন ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক আলী আকবর।

মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থাকা উপপরিদর্শক রুশো বণিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, সোমবার বিকালে তার চাচা রাজু আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

নিহত আসমা আক্তারের চাচা রাজু আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে বাঁধন নামে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে আসমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসমার মোবাইলে একটি ফোন আসে। এরপর সে তার দাদিকে বাইরে যাচ্ছি বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকেই তার মোবাইল বন্ধ ছিল। এরপর বাঁধনকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

রাজু আহমেদ বলেন, ‘আমার ভাই গরিব মানুষ। তিনি এলাকায় কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর আমার ভাবী শেফালী বেগম এলাকায় একটি ধানের কলে কাজ করেন। কী অপরাধে আমাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে আমরা এর বিচার চাই। আমরাতো কারো কোনো ক্ষতি করিনি। তাহলে আমাদের এমন ক্ষতি কারা করল কেন করল আমরা এর বিচার চাই।’

সোমবার সকালে রাজধানীর কমলাপুরের রেলস্টেশনের একটি পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে আসমা আক্তার নামের ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আসমা পঞ্চগড় সদর থানার কনপাড়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দাখিলের ছাত্রী ছিলেন। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।

(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/এএ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :