কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে সাভারের ট্যানারি পল্লীতে

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৯, ১০:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর মালিকদের কাছে কাঁচা চামড়া বিক্রি শুরু করেছেন আড়তদাররা। গত রবিবার সচিবালয়ে সরকার, ট্যানারি মালিক ও আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর সোমবার সকালে কাঁচা চামড়া ক্রয় শুরু হয়। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে সাভারের ট্যানারি পল্লীতে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ট্যানারিতে নতুন চামড়া আসায় কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে ট্যানারির কাজের পরিবেশ। বেশ কদিন ধরে কর্মরত শ্রমিকরা বসে কাটালেও অবশেষে মালিকরা চামড়া কেনা শুরু করায় কাজের চাহিদা বেড়েছে ট্যানারিগুলোতে। কাজের এমন পরিবেশ ফেরায় খুশি কর্মরত শ্রমিকেরা।

ট্যানারির মালিক ও ট্যানারিতে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, গত রবিবার রাতে মন্ত্রণালয়ে সরকার, ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর থেকে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে তারা চামড়া কিনছেন।

মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি মূল্যে তারা চামড়া কেনা শুরু করেছেন। তবে বিদেশি বায়ার, বিশেষ করে ইউরোপিয়ান বায়াররা চামড়া না কেনায় তাদের কাছে গত বছরের চামড়া রয়ে গেছে। তাছাড়া তাদের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় আড়তদারদের দেনা পরিশোধ এবং নতুন চামড়া ক্রয় করায় বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এদিকে চামড়ার দাম কম হলেও ক্যামিকেল ও লবণের দাম অনেক বেড়েছে।

ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকার, ট্যানারি মালিক ও আড়তদারদের মধ্যে সমঝোতার কারণে আবার সাভারের চামড়া শিল্পনগরী কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে আসায় আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। তবে দেশের দ্বিতিয় বৃহত্তম রপ্তানি শিল্প হিসেবে ভবিষ্যতে যাতে চামড়া শিল্পে কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি না হয় এবং শিল্পটি যাতে সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে চলে এজন্য চামড়া বোর্ড গঠন করার দাবি জানান তিনি।

ট্যানারি শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, চামড়া না এলে মালিকদের চেয়ে শ্রমিকদের সমস্যা বেশি হয়। আমরা বেকার হয়ে যাই এবং পরিবার নিয়ে অনিশ্চয়তা মধ্যে পড়ি। তাই যত দ্রুত সম্ভব ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে আড়তদারদের মধ্যকার সমস্যাটির স্থায়ী সমাধান করার দাবি জানান।

এ এস লেদার কমপ্লেক্সের মালিক আব্বাস উদ্দিন বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে আমরা কাঁচা চামড়া কিনতে শুরু করেছি। তবে গত বছরের ক্রয় করা চামড়া মজুদ থাকায় এবং বিদেশি বায়ার কমে যাওয়া সেগুলো বিক্রি করতে পারি নাই। এই ‍মুহূর্তে নগদ টাকার অভাব থাকায় স্বল্প পরিসরে হলেও নগদ টাকায় চামড়া কিনছি।

ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/এমআর