ভূমধ্যসাগরে শরণার্থী হ্রাস

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৯, ১২:১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

২০১৮ সালের প্রথম ছয়মাসের চেয়ে ২০১৯ সালে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে আসা শরণার্থীদের ঢল কমেছে। এমনই তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন।

২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে এসে পৌঁছান ৫৮ হাজার মানুষ। এদের মধ্যে সবাই শরণার্থী বা অভিবাসনপ্রত্যাশী। সেই তুলনায়, ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই সংখ্যা কমে হয়েছে মাত্র ৩৭ হাজার ১০০ জন।

জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন জানিয়েছে যে, এই বছর ভূমধ্যসাগরপথে ইউরোপে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পছন্দের দেশ গ্রিস। সেখানে এসেছেন ১৮ হাজার ৪০০জন। এরপর সেই তালিকায় রয়েছে স্পেন (১৩ হাজার ৩০০জন), ইতালি (২ হাজার ৮০০জন), সাইপ্রাস (১ হাজার ৩০০জন) ও মাল্টা (১ হাজার ৩০০জন)।

ভূমধ্যসাগরের পথে ইউরোপে এসে পৌঁছেছেন যত শরণার্থী, তাদের মধ্যে শীর্ষস্থানে আফগানিস্তান। সেখান থেকে আসা মোট ৪ হাজার ৬০০ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৫০০জনের গন্তব্যই ছিল গ্রিস। ভূমধ্যসাগরের পথে আসা অন্যদের মধ্যে এরপর রয়েছেন মরক্কো, সিরিয়া, মালি, গিনি, ইরাক, কঙ্গো, ফিলিস্তিন, আইভরি কোস্ট ও অ্যালজেরিয়ার নাগরিকেরা। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে আসা মানুষের মধ্যে ৫৮ শতাংশ পুরুষ, ১৮ শতাংশ নারী ও ২৫ শতাংশ শিশুরা রয়েছেন।

ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে আসার পথ মূলত তিনটি- পশ্চিম, পূর্ব ও মধ্য পথ। এর মধ্যে, ৫৮ শতাংশ বেছে নিয়েছে মধ্যপথটি, যা গিয়ে পড়ে ইতালি ও গ্রিসে। দ্বিতীয় স্থানে স্পেনগামী পশ্চিম পথ, তৃতীয় স্থানে সাইপ্রাসগামী পূর্ব পথ।

গত কয়েক মাসে শিরোনামে উঠে এসেছে ভূমধ্যসাগর পথে শরণার্থীবাহী নৌকা ও সংশ্লিষ্ট বিপদের খবর। প্রতিবেদন জানাচ্ছে যে, ২০১৮ সালের প্রথম ছয়মাসে এই পথে মারা যান ১ হাজার ২৮৯ জন। উল্টোদিকে, ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে এই সংখ্যা কমে হয়েছে ৫৮৫।

ঢাকা টাইমস/২১আগস্ট/একে