রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহে আবারও অনিশ্চয়তায় প্রত্যাবাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০১৯, ১৪:২২

ব্যাপক প্রস্তুতি ও উদ্যোগ থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের কারণে দ্বিতীয় দফাতেও প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে । এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে একই রকমের একটি প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলে সেটিও ভেস্তে গিয়েছিল রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের কারণে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, কোনো রোহিঙ্গা মিয়ানমারে যেতে রাজি না হওয়ায় এখনও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি।

তিনি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যদি বিকাল চারটা পর্যন্ত কেউ স্বেচ্ছায় রাজি হয়, তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ যেতে রাজি হয়নি।’

এ সময় চীন ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জানান, বৃহস্পতিবার থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার তারা মোট ২৩৫টি পরিবারের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের অনেকেই মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। তাই পাঁচটি বাস ও তিনটি ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়। তবে যারা স্বেচ্ছায় গাড়িতে উঠবে মূলত তাদেরই প্রত্যাবাসন করা হবে, কাউকে জোর করা হবে না।

তিনি আরও জানান, ‘মিয়ানমার সরকারের দেওয়া ছাড়পত্র অনুযায়ী এক হাজার ৩৭টি পরিবারের মোট তিন হাজার ৫৪০ জনকে ফেরত নেওয়ার প্রথম তালিকাটি দেওয়া হয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে অন্যদের এই প্রক্রিয়ায় আনা হবে। কারণ এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনার রোহিঙ্গাদের নিধনে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণ আর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে অভিমুখে ঢল নামে রোহিঙ্গাদের। আগে থেকে অবস্থান নেওয়া সাড়ে তিন লাখসহ বাংলাদেশে এখন অবস্থান করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দেয়।

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে জাতিসংঘসহ নানা সংস্থার উদ্যোগের পর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সরকারের আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০১৮ সালের ২৩ শে জানুয়ারি প্রত্যাবাসন শুরুর কথা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। পরে একই বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় একজনকেও ফেরত পাঠানো যায়নি। এবারও হামলার মুখে পড়ার আশঙ্কায় রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানালে দ্বিতীয় দফার উদ্যোগও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যেও সংখ্যায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা: সুজন

মানবাধিকার ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: ড. কামাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :