সিলেটে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড

প্রকাশ | ২২ আগস্ট ২০১৯, ১৯:০১

সিলেট ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

সিলেটে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও নতুন করে নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের দুটি এলাকায় এডিস মশার লার্ভা ও পূর্ণাঙ্গ মশার সন্ধান পেয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।

বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে এডিস মশা নিধনকল্পে পরিচালিত সিসিকের অভিযানে নতুন করে এ দুটি এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সিসিকের জনসংযোগ শাখা জানায়, অভিযান চলাকালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটিকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অন্য প্রতিষ্ঠানের পুরাতন টায়ার, টিউবসহ পানি জমে থাকার কারণে বেশকিছু আসবাবপত্রও জব্দ করা হয়।

অর্থদণ্ড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ঢাকা মোটরস ৫০ হাজার, টায়ার মার্কেট ১২ হাজার। এছাড়া ভাইভাই মোটরস নামের প্রতিষ্ঠানের মালামাল জব্দ করা হয়।

সিটি কর্পোরেশনের অনুসন্ধানে পাওয়া এডিস মশার লার্ভা নতুন করে সন্ধান পাওয়ায় নগরজুড়ে শুরু হয়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। নগরীতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার না ফেলা, টায়ার, টিউব, ফুলের টবে জমে থাকা পানি পরিষ্কার না করলে এভাবে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ড করা হবে বলে জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

এর আগে ২৫ জুলাই ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরীতে পক্ষকালব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশা নিধনকল্পে অভিযান শুরু করেন।

অভিযান শেষে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। জানান, সিসিকের ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই ওয়ার্ডগুলো অতিক্রম হয়েই নগরীতে প্রবেশ করতে হয়। এখানে ট্রেন স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ট্রাক টার্মিনাল থাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য টায়ার টিউবের দোকান। এসব দোকানের সামনে স্তূপ আকারে থাকা গাড়ির টায়ারের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেক স্থানে পূর্ণবয়স্ক মশার সন্ধানও মিলেছে। এ থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, এডিস মশার লার্ভা এই ওয়ার্ডগুলোর বিভিন্ন স্থানে থাকতে পারে।

তিনি জানান, সিটি কর্পোরেশন এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসসহ সকল প্রকার মশা নিধনে অভিযান অব্যাহত রাখবে।

এসময় সিসিকের  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্যানেল মেয়র-১ তৌফিক বক্স লিপন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন, জেলা কীটতত্ববিদ মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক আক্তারুজ্জামান, সিসিকের প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অ্যান্টোমোলজি টেকনিশিয়ানসহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এলএ)