আর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভরশীল হব না: কৃষিমন্ত্রী

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০১৯, ২১:৪১

সঠিক প্রক্রিয়ায় ধান কেনা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে কৃষকের তালিকা সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, কৃষক যাতে সামনের মৌসুমে ধানের ন্যায্যমূল্য পান তা নিশ্চিত করা হবে। ধান কেনার ক্ষেত্রে শুধু খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভরশীল হব না।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিস মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সংবর্ধনা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগে, তিনি কৃষি প্রেস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

কৃষি বিপণন ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করা হবে উল্লেøখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি বিপণন সংস্থাকে আরও সংস্কার করা হবে। তারা শুধু কাওরান বাজার গিয়ে বাজারদর লিখবে আর তা প্রচার করবে তা হবে না। আন্তর্জাতিক বাজার ও মাঠ পর্যায়ে কৃষকের সঙ্গেও তাদের কথা বলতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এলিট শ্রেণীর মানুষ আগে কৃষিতে আসত না। কৃষি অনেকটা গালিই ছিল। চাষা বলে অবজ্ঞা করা হতো। কৃষির অবস্থা এখন আর আগের মতো নেই। এখন এলিট শ্রেণীর মানুষরাও এই পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে।

দেশ খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে এবার কৃষি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ধান ও চাল উৎপাদনে আমরা এখন উদ্বৃত্তের তালিকায় আছি। আলু উৎপাদনও বেশি হয়েছে। শিগগির ফিলিপাইনে এক লাখ টন চাল রপ্তানি করা হবে। এ জন্য একজন ব্যবসায়ী এলসি খুলেছেন বলে জেনেছেন মন্ত্রী।

দেশে অপ্রচলিত শস্য উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য চট্রগ্রাম এলাকায় কাজুবাদাম ও কফি চাষ সম্প্রসারণ করা হবে। আমরা ভিয়েতনাম থেকে কফি ও কাজু বাদামের চারা নিয়ে আসব। সেগুলো চাষ করতে সারাদেশে বিতরণ করা হবে। কাজু বাদাম ও কফি চাষের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিতে আমরা কয়েকজন কৃষককে ভিয়েতনাম পাঠাব।’

বিদেশে বিভিন্ন কৃষি পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে দেশে আধুনিক অ্যাক্রিডেটেড ল্যাব স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে অ্যাক্রিডেটেড ল্যাব নেই। শিগগির পূর্বাচলে একটি আধুনিক অ্যাক্রিডেটেড ল্যাব স্থাপন করা হবে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষক পদক প্রাপ্তদের এআইপি (এগ্রিকালচার ইমপোর্টেন্ট পারসন) কার্ড দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। এই কার্ড ব্যবহার করে সিআইপি কার্ডের মতো বিশেষ কিছু সুবিধা পাবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের উপপরিচালক রেজাউল করিম প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/জেআর/মোআ

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :