হবিগঞ্জে ট্রিপল মার্ডার মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ২২ আগস্ট ২০১৯, ২২:০২

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ট্রিপল মার্ডারের দুই মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম নাসিম রেজা এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ওই উপজেলার পুরান পাথাড়িয়া গ্রামের হাজী ইসমাইলের ছেলে করম আলী, হেলিম উল্লাহর ছেলে আলী মোহাম্মদ, আব্দুল হাসেমের ছেলে সুরুজ আলী, সঞ্জব আলীর ছেলে তোরাব আলী।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল আহাদ ফারুক। তিনি রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পুরান পাথারিয়া গ্রামের আলী মোহাম্মদ এবং করম আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ১৯৯৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর করম আলীর অনুসারী সায়েদ বিরোধপূর্ণ জমির পুকুরে হাত মুখ-ধুতে যান। এ সময় আলী মোহাম্মদের সঙ্গে কথা কাটিকাটি হয়।

এর জের ধরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আলী মোহাম্মদের সমর্থক নুর মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে নিহত হন। সেই সঙ্গে করম আলীর সমর্থক শামসুল হককে গুরুতর আহত অবস্থায় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

অপর আহত আফিল উদ্দিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। নুর মোহাম্মদ হত্যার ঘটনায় আলী মোহাম্মদ বাদী হয়ে ১০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। অপর পক্ষের আফিল উদ্দিন ও শামসুল হক হত্যায় আতিকুনেচ্ছা বাদী হয়ে ৪৬ জনকে আসামি করে একই দিন আরেকটি মামলা করেন।

উভয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বানিয়াচং থানার তৎকালীন এসআই অমরেন্দ্র মল্লিক ১৯৯৯ সালের ১১ আগস্ট নুর মোহাম্মদ হত্যায় ১০৩ জনকে এবং আফিল উদ্দিন ও শামসুল হক হত্যায় ৬২ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেন।

আফিল উদ্দিন ও শামসুল হক হত্যা মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৭ জনের মধ্যে নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে বৃহস্পতিবার রায় দেন বিচারক।

অপরদিকে, একই ঘটনায় দায়েরকৃত নুর মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ১৬ জনের মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় দেন বিচারক। রায়ে করম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/ইএস